বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিক্ষক

মিতা দাশ | বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ

একজন শিক্ষকের সব কিছুই শিক্ষণীয়। শিক্ষকতা একটা মহান পেশা। নিঃস্বার্থ ভাবে বাবা মায়ের সব উজাড় করে দেয়ার কথা আমরা সবাই জানি। সেই বাবা, মায়ের মতো নিঃস্বার্থভাবে উজার করে নিজের সমস্ত শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বেড়ান সব শিক্ষক আজীবন। শিক্ষার্থীদের সাফল্যই হলো শিক্ষকদের স্বার্থকতা।

একটা ঘুটঘুটে অন্ধকার ঘরে হঠাৎ একটা প্রদীপের আলো যেমন সব অন্ধকার দূর করে দেয়, ঠিক তেমনি মানুষের জীবনেরও সব অন্ধকার দূর করে দেন শিক্ষক শিক্ষার আলো দিয়ে। আসলে সেই প্রদীপের আলোই হলো শিক্ষক। যে শিক্ষককে শিক্ষার আলোকবর্তিকা হয়ে জীবনের, সমাজের, মনের সব অন্ধকার দূর করে শিক্ষার্থীদের আলোর দিশা দেখান। তিনি হলেন সঠিক পথ নির্দেশক। জীবনে শিক্ষা গুরুর অবদান অসীম। একজন যোগ্য মানুষ ও সফল মানুষ হয়ে উঠার পেছনে কোনো না কোনো শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম।

শিক্ষকের অর্থ অনেক বিশাল। অনেক অনেক গুণ থাকে শিক্ষকের মাঝে। তবে আমি মনে করি শিক্ষক হলোঅভিঞ্জ, দায়িত্বশীল, মহান, উদার, সৎ, দায়িত্বসম্পন্ন, শিক্ষা বিতরণকারী, উদার, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকই নন। তিনি জীবনের প্রতিটি স্তরেই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। শিক্ষক সব কর্মে থাকেন আমাদের জীবনের সাথে মিশে।

শিক্ষককে বলা হয় শিক্ষা গুরু। গুরু হলেন পাঁচ জনশিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু, পিতা, মাতা ও বড়ভাই। এই পাঁচজন হলেন গুরু। শিক্ষক শুধু বইয়ের পাতার বিষয়ে আটকে থাকেন না, তিনি নিয়ম কানুন, আচার আচরণ, ভালো মন্দ, কথা বলার ধরন, সামাজিক নিয়ম, সকল সমস্যার মোকাবেলা করার সাহস, নৈতিকতা, সৌহাদ্য প্রীতি, কৃষ্টি কালচার আরো অনেক বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন।

শিক্ষকের প্রতিটি বিষয়ই হবে শিক্ষণীয়। আমাদের জীবনে শিক্ষকের ভুমিকা অপরিসীম। জন্মের পর চোখের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে কোনও শিশু জন্ম গ্রহণ করলেও মূলত চোখে দৃষ্টি পায় শিক্ষার মাধ্যমে, সেই সাথে শিক্ষার কারণে মনের অন্ধকার দরজাও খুলে যায়। তাই শিক্ষকের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা উচিত আমাদের সকলের।

প্রত্যেকের কাছে ছোট কাল থেকে কোনও না কোনও শিক্ষক মনে দাগ কেটে থাকেন। সকল শিক্ষকের কথা মনে না থাকলেও বিশেষ কোনও শিক্ষক অবশ্যই মনের উপর প্রভাব ফেলেন। আর জীবনে সফলতা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঐ শিক্ষকের অবদান থাকে বেশি। শিক্ষকদের এগিয়ে নেয়ার কর্মপ্রচেষ্টা থাকেন সবসময়। শিক্ষক দিবসে সকল শিক্ষকদের প্রতি রইলো কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা ও সালাম। নতজানু হয়ে সালাম জানাই সকল শিক্ষকের তরে এমন মহান মানুষ ছিলেন বলিয়া আমরা পৌঁছেছি আজ উন্নতির শিখরে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমাতৃত্বের অনুভূতি সত্যি অসাধারণ
পরবর্তী নিবন্ধআবুল হাশিম : অখণ্ড স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা