নির্বাচনী আচরণবিধি না মানায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীর নির্বাচনী কর্মীদের জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায় ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। কাউন্সিলর প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে মাইক দিয়ে প্রচারণা, দলীয়ভাবে মনোনীত লেখা পোস্টার গাড়িতে লাগিয়ে প্রচারণার দায়ে তিনি প্রার্থীর প্রচারকারী আনোয়ারকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
১২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমুল হক ডিউকের পক্ষে অনুমতি ছাড়া মাইক ব্যবহার করায় তিনি প্রার্থীর দুই কর্মীকে আটকের আদেশ দেন। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মেয়র প্রার্থী জান্নাতুল ইসলামের কর্মীরা গাড়িতে পোস্টার লাগিয়ে প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনা করায় পোস্টার অপসারণ করে তাদের ফেরত পাঠান ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার ২৭, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে লাগানো ব্যানার, পোস্টার অপসারণ করার নির্দেশ দেন। এছাড়া ১ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর। অভিযানে এক মেয়র প্রার্থীর রঙিন পোস্টার অপসারণ করা হয়। মেয়র প্রার্থীর সাথে কাউন্সিলর প্রার্থীর যৌথভাবে টাঙানো ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে মেয়র প্রার্থীর সাথে কাউন্সিলর প্রার্থীর যৌথভাবে টাঙানো ব্যানার নামিয়ে ফেলা হয়। দলীয়ভাবে কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনীত লেখা পোস্টার সরিয়ে ফেলা হয়। ১১, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান। তিনি এসব এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান।