বিভাগীয় সভায় ডিনের বিরুদ্ধে অপমানের অভিযোগ

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ১৫ মে, ২০২৪ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় কলা ও মানব বিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মাহবুবুল হক কর্তৃক একই বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. নুরুল ইসলামকে অপমান করার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার অভিযোগকারী ইতিহাস বিভাগের সভাপতি মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এ অভিযোগ করেন। অভিযোগ গত সোমবার দিলেও গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি সামনে এসেছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, একাডেমিক কমিটির সভার দ্বিতীয় আলোচ্য সূচিতে ২০২৩ সালের বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা কমিটি সমূহ গঠন সংক্রান্ত আলোচনায় প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক নিজ থেকে এম এ শ্রেণীর পরীক্ষা কমিটি গঠন করে দেন। উক্ত কমিটির ব্যাপারে আমি কোন বক্তব্য না দিলেও তিনি বিনা কারণে আমাকে এবং আমার পরিবার (আমার স্ত্রী ফারহানা আজিজ, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক) নিয়ে অশালীন বক্তব্য দেন। আমি আগে থেকে একাডেমিক কমিটির মাধ্যমে এম এ ক্লাসে ৫০৪ নম্বর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইতিহাস কোর্সটি পাঠদান করে আসছি। ২০২২২৩ সেশনে আমাদের দুইজন শিক্ষক প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল মাসুম ও প্রফেসর ড. শওকত আরা বেগম ছুটিতে গেলে তাদের ২টি কোর্সের মধ্যে ৫০২ নম্বর কোর্সটি আমাকে সাময়িকভাবে আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও পাঠদানের অনুরোধ জানালে বিভাগের স্বার্থে আমি রাজি হই। অপর কোর্সটি অনেকটা জোরপূর্বক ফারহানা আজিজকে দেয়া হয়।

অভিযোগকারী বলেন, . মাহবুবুল হক হঠাৎ করে এম এ শ্রেণীতে আমাদের কোর্স নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং কোর্স পাঠদানের কারণে আমাদের উক্ত শ্রেণীতে পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল কাজের বৈধতা নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলেন।

এই সম্পর্কে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ বলেন, আমার কাছে এই বিষয়ে অভিযোগপত্র এসেছে। আমি অভিযোগপত্রটি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের নিকট পাঠাবো। তিনি বিষয়টি দেখবেন।

এ বিষয়ে প্রফেসর ড. মাহবুবুল হকের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের অভিযোগটি শুদ্ধ না। মাস্টার্সে ছয়টি কোর্সের মধ্যে তিনটি কোর্স তারা স্বামীস্ত্রী দুইজনে পড়ায়। আর পরীক্ষা কমিটিতে যদি তাদের দুইজনকেই রাখা হয় সেখানে শিক্ষার্থীরা ফলাফল নিয়ে ভয়ে থাকবে। যার কারণে আমি বললাম তাদের দুইজনকে একসাথে পরীক্ষা কমিটিতে রাখা যাবে না। এই বলে আমার কাজ থাকায় চলে আসছি। আমার কথার মধ্যে স্বামীস্ত্রী এই শব্দটিকে হয়তো উনারা অপমান হিসেবে নিয়েছে। আমার জানা মতে এর থেকে আর বেশি কিছু বলিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাটহাজারীতে জোর প্রচারণা, সব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস
পরবর্তী নিবন্ধবন্দরের ভাণ্ডার শাখায় দুদকের অভিযান