বিভাগীয় পর্যায়ের ফাইনালে চাঁদপুর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-রাঙ্গামাটি

বঙ্গবন্ধু- বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া প্রতিবেদক  | সোমবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ at ৫:২২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে চাঁদপুর ও কুমিল্লা জেলা। অন্যদিকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনালে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও রাঙ্গামাটি জেলা। গতকাল রোববার এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধুবঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে ছেলেদের বিভাগে ২টি এবং মেয়েদের বিভাগে ২ টি সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের ১ম সেমিফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর মডেল সপ্রাবি ৫০ গোলে খাগড়াছড়ি জেলার বড়পাড়া সপ্রাবিকে পরাজিত করে টুর্নামেন্টের ১ম দল হিসেবে ফাইনালে উঠে। বিজয়ী দলের পক্ষে সামিয়া আক্তার টুর্নামেন্টের তৃতীয় হ্যাটট্রিক পূর্ণ করে। সে ১১ গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছে। টুর্নামেন্টের ২য় সেমিফাইনালে রাঙামাটি জেলার কাউখালী উপজেলার পানছড়ি সপ্রাবি ৪২ গোলে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার খিরাইকান্দি ইমাম উদ্দিন সপ্রাবিকে পরাজিত করে ২য় দল হিসেবে ফাইনালে উঠে। বিজয়ী দলের পক্ষে নমিতা চাকমা হ্যাটট্রিক করে। সেও ১১ গোল করে গোলদাতার তালিকায় সামিয়া আক্তারের সাথে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে। বিজয়ী দলের পক্ষে অন্য গোলটি করে জয়ন্তী চাকমা। বিজিত দলের পক্ষে আফরিন দুই গোল করে। আগামীকাল ১৭ অক্টোবর ৮.৩০টায় ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে দিনের ১ম সেমিফাইনালে চাঁদপুর জেলার সদর উপজেলার কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সপ্রাবি ৫২ গোলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কসবা উপজেলার কসবা সপ্রাবিকে পরাজিত করে বালক বিভাগে ১ম দল হিসেবে ফাইনাল উঠে। বিজয়ী দলের পক্ষে মো. নুরুন্নবী হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করে। সে ৮ গোল করে গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে আছে। দলের পক্ষে অন্য গোলটি করে নাহিদ। বিজিত দলের পক্ষে জুরায়েদ ও রিহাদ একটি করে গোল করে। ২য় সেমিফাইনালে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম সপ্রাবি ৩১ গোলে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার জালিয়াঘাটা সপ্রাবিকে পরাজিত করে বালক বিভাগে ২য় দল হিসেবে ফাইনাল উঠে। বিজয়ী দলের পক্ষে সাব্বির হোসেন, আল সামির ও ফরহাদ হোসেন প্রত্যেকে ১টি করে গোল করে। বিজিত দলের পক্ষে মোবারেক হোসেন সিরাজী সান্তনাসূচক গোল করে।

উল্লেখ্য, এই খেলার দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটে ৩য় গোল হজম করার পর রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় বাঁশখালী। নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে মাঠ ছেড়ে যান। এরপর বাঁধে তুলকালাম কান্ড। মাঠ ছেড়ে রেফারিরা বেরোনোর সময় রেফারিদের লক্ষ্য কও অেশ্রাব্য গালিগালাজ চলে। প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা অনুযায়ী, রেফারিরা স্টেডিয়ামের বাইরে আসার সাথে সাথে এক ব্যক্তি ফ্লাইং কিক মারে। সাথে সাথে বাঁশখালীর ক্ষুদে ফুটবলাররাও রেফারিদের উপর আক্রমনে সামিল হয়।

অসহায় রেফারিদের একজন কোনমতে বের হয়ে মাত্র একশ’ গজ দুরে অবস্থিত সমিতির অফিসে খবর দিলে সেখানের অবস্থানরত রেফারিরা ছুটে এসে পাল্টা হামলা চালায়। এসময় সামনেই জিমনেশিয়ামে অবস্থানরত নির্বাচন কমিশনের পুলিশ ছুটে এলে গন্ডগোলকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ফ্লাইং কিক মারা সেই লোককে আটক করলেও বাঁশখালী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জালিয়াঘাটা সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক মুছলেকা দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। আগামীকাল ১৭ অক্টোবর সকাল ৯.৩০টায় ফাইনালে তারা চাঁদপুর জেলার কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সপ্রাবির সাথে শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকোহলির কাছ থেকে জার্সি নেওয়ায় বাবরের কঠোর সমালোচনা ওয়াসিমের
পরবর্তী নিবন্ধকাস্টমসকে হারিয়ে সিটি কর্পো’র প্রথম জয়