চলতি বছর বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী ও প্রভাবশালী ১০০ নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে বিবিসি। এ তালিকায় সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার পাশাপাশি ফুটবলে নারীদের সমতা নিয়ে কথা বলা স্পেনের নারী ফুটবলার আইতানো বনমাতি, এলজিবিটিকিউ অধিকারের জন্য লড়ে যাওয়া থাইল্যান্ডের নারী মাচা ফর্নসহ আরও যারা স্থান পেয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখিকা এবং প্রতিবন্ধীদের অধিকার রক্ষা আন্দোলন কর্মী। খবর বিডিনিউজের।
পোড়া ক্ষত নিয়ে জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন জান্নাতুল। ১৯৯৭ সালে এক অগ্নি দুর্ঘটনায় পুড়ে গেছে তার দেহের ৬০ শতাংশ। সে দুর্ঘটনায় বেঁচে যান জান্নাতুল। কিন্তু তার মুখমণ্ডল ও শরীরের উপরের অংশ পুড়ে কুঁচকে বিকৃত হয়ে যায়। এই ক্ষত বয়ে বেড়ানোর শারীরিক এবং মানসিক সংগ্রামের মধ্যেও দৃঢ় মনোবল নিয়ে নতুন করে জীবনের পথ চলতে শুরু করেন তিনি।
জান্নাতুল ফেরদৌস মানবাধিকার সংস্থা ‘ভয়েস অ্যান্ড ভিউজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা। পোড়া ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকা নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে এই সংস্থা। বন্ধু–বান্ধব এবং আত্মীয়স্বজনের কাছে আইভী নামেও পরিচিত তিনি। তিনি পাঁচটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন এবং তার তিনটি উপন্যাসও প্রকাশ হয়েছে। তাছাড়া সমাজের প্রতিবন্ধীদের সচেতন করতে গল্প বলার ছলে তাদেরকে উদ্বুদ্ধও করেন।
তিনি পড়াশুনাও করেছেন বিস্তর। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এমএ এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন শিক্ষায় ডিগ্রি নিয়েছেন জান্নাতুল। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট থেকে সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সে ডিপ্লোমাও করেছেন। চলচ্চিত্র নির্মাণ ও ফটোগ্রাফি বিষয়ক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি করেছেন অ্যাপ্রিসিয়েশন কোর্স।