বিবাহবিচ্ছেদ ট্রুডোর রাজনৈতিক জীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে?

| শুক্রবার , ৪ আগস্ট, ২০২৩ at ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ

হঠাৎ করেই ১৮ বছরের বৈবাহিক জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়ে তুমুল আলোচনার জন্ম দেওয়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ভবিষ্যত নিয়েও আলোচনা তুঙ্গে। স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ারের সঙ্গে বিচ্ছেদের এই ধাক্কা কাটিয়ে তিনি চতুর্থবারের মত কানাডার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নামবেন কিনা তা নিয়ে কারো কারো মনে সংশয় তৈরি হয়েছে। ২০২৫ সালের অক্টোবরে কানাডার পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি তার দল লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব ঠিকঠাক মত দিতে পারবেন কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। খবর বিডিনিউজের।

প্রশ্ন ওঠার যথেষ্ট কারণও রয়েছ। সমপ্রতি বিভিন্ন জনমত জরিপে সাধারণ কানাডীয়দের মধ্যে ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ার চিত্র ফুটে উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমনকী দলের ভেতরের লোকজনও তাকে নিয়ে তেমন আশাবাদী হতে পারছে না। এর মধ্যেই বুধবার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন ট্রুডো। যারা শুধু দেশে নয়, বিশ্বজুড়েই আদর্শ দম্পতি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

এই বিচ্ছেদ যে ট্রুডোর ব্যক্তিগত জীবনে সবচেয়ে বড় সংকটগুলোর অন্যতম সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ ধাক্কা তিনি কাটিয়ে উঠতে চান বলেই জানিয়েছেন তার ঘনিষ্ঠজন এবং রাজনীতি বিশ্লেষকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রুডো ঘনিষ্ঠ একজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘তিনি আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামবেন।’

বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল করেন ট্রুডো। ওই রদবদলের মাধ্যমে তিনি মূলত তার মূল অর্থনৈতিক দল গঠনে অধিক মনোযোগ দিয়েছেন। দুই বছরের বেশি সময় ধরে জীবনযাপন ব্যয়ের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে কানাডার সাধারণ মানুষকে।

টরেন্টোর বাসিন্দা ৬০ বছরের ডেনিস ডেভিসন বলেন, ‘আমার মনে হয় না বিবাহবিচ্ছেদ ট্রুডোর একজন কার্যকর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াবে। বাস্তবে বরং, যদি এতে তার মানসিক অবস্থার উন্নতি হয় এবং তিনি নিজে শান্তি অনুভূব করেন তবে সেটা দেশ হিসেবে আমাদের জন্য ভাল কিছুই বয়ে আনবে।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধ হওয়ায় মালি ছাড়ল মিশরীয় বাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু