বিপ্লব উদ্যানে গ্রিন পার্কই হবে, তাই বাণিজ্যিকীকরণ করতে হাইকোর্টে গিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাসের যে পটভূমি, সেটা সুন্দরভাবে লেখা থাকবে। এটা একটা গ্রিন পার্ক হবে। সবুজের সমারোহ থাকবে। মানুষ হাঁটতে পারবে এবং সেখানে বসতে পারবে। কোনো বাণিজ্যিকীকরণ সেখানে হবে না। মাফিয়াদের চক্রের দৌরাত্ম্য সেখানে চলবে না। অনতিবিলম্বে সেখানে পার্কের কাজ করা হবে। অনেক চক্র বিভিন্নভাবে হাইকোর্টে যাচ্ছে যাতে সেখানে পার্ক করতে না পারি। আমি তাদের স্পষ্ট করে বলতে চাই, হাইকোর্টে গিয়ে কোনো লাভ হবে না।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ও ড্যাব চট্টগ্রাম শাখার সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মেডিকেল ক্যাম্প উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ডা. ফয়েজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. মো. ইমরোজ উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আয়োজিত কর্মসূচিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় রক্ত সংগ্রহ করা হয়।
এসময় মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত বলেন, ওয়াসিম, মুগ্ধ, সাইদসহ ৮৭৫ জন ছাত্র–জনতা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্তস্নাত এ বাংলাদেশ। তাদের এ আত্মত্যাগের মাধ্যমে আজকে একটি নতুন বাংলাদেশের উদ্ভব হয়েছে। পরিবেশ দূষণ যারা করে, যারা বাণিজ্যিকীকরণ করে, তারা চট্টগ্রামবাসীকে পার্ক ব্যবহার করতে দেয়নি। এর ফলে বাচ্চারা সেখানে যেতে পারেনি, মা–বোনরা সেখানে বসতে পারেনি, হাঁটতে পারেনি, তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
তিনি আরো বলেন, আমি বলতে চাই, আমি চট্টগ্রামের মেয়র নই, চট্টগ্রামের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। মনে রাখবেন, এ চট্টগ্রাম আমার একার নয়, এ চট্টগ্রাম সবার। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম নগরকে একটা গ্রিন সিটি ক্লিন সিটি এবং হেলদি সিটি করবো, ইনশাআল্লাহ।
এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী বেলাল উদ্দিন, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বিএমএ চট্টগ্রামের সাবেক সহ সভাপতি ডা. কামরুন্নাহার দস্তগীর, মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ইফতেখার লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইস্কান্দর মির্জা, মজিবুল হক, মো. কামরুল ইসলাম, জাফর আহমেদ, মো. আজম, আশরাফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সারোয়ার আলম, চমেক ড্যাবের যুগ্ম সম্পাদক ডা. ঈসা চৌধুরী, চসিক শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. হোসনে আরা বেগম, ড্যাব নেতা ডা. তানভীর তান্না, ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. সাদ্দাম হোসেন, ডা. রিয়াসাত, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. জোনায়েদ রায়হান প্রমুখ।