ধর্ম উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন বলেছেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক আলোকবর্তিকা হয়ে আছে, যেখানে ছাত্র–জনতার আত্মত্যাগ ও সাহস দেশের স্বপ্নময় ভবিষ্যতের ভিত্তি রচিত হয়েছে। এই আন্দোলন আমাদেরকে শিখিয়েছে, সত্য ও ন্যায়ের পথে দৃঢ়চিত্তে দাঁড়ালে কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির কাছে মাথা নত করতে হয় না। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে অকাতরে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন এদেশের অগণিত শিশু–কিশোর, তরুণ ও ছাত্র–জনতা। জুলাই গণ–অভ্যুত্থান আমাদেরকে শিখিয়েছে কিভাবে সাহস, ন্যায় ও সততার পথ অনুসরণ করত হয়, এই বিজয়ের স্পিরিট সবার হৃদয়ে ধারণ করতে হবে, অন্যথায় আবার ফ্যাসিবাদ মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, তাই আমাদের দায়িত্ব বিপ্লবের এই আলোকে প্রজ্বলিত রাখা।’
২০২৪ সালের ছাত্রগণ অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘চব্বিশের বিপ্লব’ গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
সম্প্রতি আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইপ আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মাহবুবুল হক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, মানবাধিকার কর্মী ও সংগঠক অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান, সাংবাদিক আরফাত হোসাইন বিপ্লব, কে এম ফোরকান প্রমুখ।
উদ্বোধক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ২০২৪সালের ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থান দেখিয়েছে কিভাবে অন্ধকারের পরাজয় ঘটে, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন, শোষণ, বঞ্চনা ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির দিশা পেয়েছে। আমরা চাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি বৈষম্যহীন, ন্যায্য ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে। ‘চব্বিশের বিপ্লব’ বইটি এই প্রেরণার পথিকৃৎ হবে।
বইটির সম্পাদক তারেক উদ্দীন নোমান বলেন, ‘চব্বিশের বিপ্লব’ কেবল একটি বই নয়, এটি সময়ের দলিল, ইতিহাসের সাক্ষী, তরুণদের ভাবনা ও সংগ্রামের প্রতিফলন, যা আমাদের সকলকে নৈতিকতা, মানবিকতা এবং সত্য পথে চলার আহ্বান জানাচ্ছে।












