বিপিএল বরণে প্রস্তুত চট্টগ্রাম

প্রথম ম্যাচ ১৬ জানুয়ারি জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রস্তুতির শেষ আঁচড়

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার , ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ at ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচাইতে বড় ফ্রাঞ্চাইজি আসর বিপিএল মাঠে গড়িয়েছে এরই মধ্যে। গত ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় যাত্রা শুরু করা বিপিএল এখন সিলেটে। আর সে সিলেট ঘুরে বিপিএল বন্দর নগরীতে নোঙর করবে আগামী ১৬ জানুয়ারি। মাঝখানে রয়েছে আর মাত্র কিছুদিন। বলা যায় আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। এরই মধ্যে বিপিএলকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সংস্কার কাজ চলছে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরই মধ্যে সে সংস্কার কাজ প্রায় শেষ। গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায় চারদিকে সমানতালে চলছে কাজ। গ্যালারির চেয়ারগুলো ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করছে একদল পরিচ্ছন্ন কর্মী। মাঠের ভেতরেও চলছে কর্মযজ্ঞ। যেহেতু বিপিএলের এ পর্যন্ত যত ম্যাচ হয়েছে প্রায় সব ম্যাচেই প্রচুর রান হয়েছে। তাই উইকেট পরিচর্যার কাজ চলছে নিবিড়ভাবে। স্টেডিয়ামের বাইরের প্র্যাকটিস উইকেটগুলোও তৈরি করা হচ্ছে দলগুলোর অনুশীলনের জন্য। স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়ন প্রান্তে লাগানো হয়েছে নতুন গ্লাস। প্রেসিডেন্ট বক্স, হসপিটালিটি বক্স, রুপটপসহ সর্বত্রই লেগেছে সংস্কারের ছোঁয়া। গতকাল দেখা গেল শ্রমিকরা তাদের প্রস্তুতির শেষ আঁচড়টা দিচ্ছেন। গ্যালারিতে জরাজীর্ণ হয়ে পড়া চেয়ার সরিয়ে সেখানে লাগানো হয়েছে নতুন চেয়ার। সব মিলিয়ে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম বিপিএল বরণে যেন এখন পুরো প্রস্তুত।

আগামী ১৬ জানুয়ারি ঢাকা ক্যাপিটালস এবং ফরচুন বরিশালের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে চট্টগ্রাম ভেন্যুর। ২৩ জানুয়ারি খুলনা টাইগার্স এবং সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচ দিয়ে শেষ হবে বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব। ছয় দিনে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা আশা করছেন ঢাকা এবং সিলেটের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও বেশ জমবে এবারের বিপিএল। এবারের বিপিএলকে ঘিরে দেশের তিন ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ হাতে নেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। আর সে লক্ষ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে একটি প্রস্তাবনা পাঠায় বিসিবি। আর প্রস্তাব মোতাবেক জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের ৯টি সংস্কার কাজ সম্পন্নের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। যার মধ্যে প্যাভেলিয়ন ভবনের সামনের একটি লিফট সংস্কারের কাজটি বিপিএলের আগে সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না সময়ের অভাবে। তবে বাকি কাজগুলো প্রায় শেষ। এখন কেবল শেষ আঁচড় দেওয়া হচ্ছে।

জহুর আহদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রধান ফটক পেরিয়ে গেলেই শোভা পাচ্ছে এবারের বিপিএলের মাসকট ‘ডানা ৩৬’। বিপিএল লেখা সম্বলিত বড় বড় বেলুনও উড়ছে স্টেডিয়ামের বিভিন্ন পাশে। খুব বেশি সাজ সজ্জা না থাকলেও যেহেতু আরো এক সপ্তাহ বাকি আছে বিপিএলের কাজেই এই সময়ে পুরোপুরি সজ্জিতকরণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। কিছুদিন আগেও যে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ছিল বিবর্ণ আর হতশ্রী সেই স্টেডিয়াম এখন অনেকটাই তকতকে, ঝকঝকে। সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে স্টেডিয়ামের নানা অংশে। স্টেডিয়ামের গ্যালারি আর স্টেডিয়ামের বাইরের সৌন্দর্য বর্ধনের পাশাপাশি সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে মাঠকে সুন্দর করার কাজে। মাঠকর্মীরা দিনরাত পরিশ্রম করে মাঠটাকে সবুজ করার চেষ্টা করছেন। সবচাইতে বড় যে ব্যাপারটি নিয়ে কথা হচ্ছে তা হলো উইকেট কেমন হবে চট্টগ্রামে। যদিও সে ব্যাপারে আগাম কিছু বলতে চান না মাঠের দায়িত্বে যারা রয়েছে তারা। তবে তাদের চেষ্টার যে ত্রুটি নেই বুঝা গেল পরিষ্কার। মিরপুর আর সিলেটে যেভাবে রানের বন্যা বইয়ে গেছে সেটা অব্যাহত থাকুক চট্টগ্রামেও তেমনটি প্রত্যাশা চট্টগ্রামের ক্রিকেট প্রেমীদের। যদিও চট্টগ্রাম ভেন্যুর টিকেটের দাম এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে শীঘ্রই তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এরই মধ্যে টিকেট নিয়ে ঢাকায় বেশ ঝামেলা হয়েছে। চট্টগ্রামে যাতে সে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেদিকে নিশ্চয়ই দৃষ্টি রাখবেন ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘন কুয়াশা থাকবে চট্টগ্রামে
পরবর্তী নিবন্ধএখন শুধুমাত্র স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডধারীই পাবেন টিসিবির পণ্য