বিপিএল নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে বিপিএল গভার্নিং কাউন্সিল। আগামী ৩০ নভেম্বর বিকেল তিনটায় অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের ১২তম আসরের নিলাম। ৬ দলের বিপিএল হবে এবার। ষষ্ঠ দল হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে। বিপিএল নিলামে অংশ নিতে ৫০০ এর বেশি বিদেশি ক্রিকেটার আবেদন করেছিল। তবে এর মধ্যে থেকে ২৫০ জন ক্রিকেটারকে বাছাই করেছে বিসিবি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন বিপিএল গভার্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সিলেটে পর্দা উঠবে এবারের বিপিএলের। আর ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি। বিপিএলের ম্যাচ মাঠে গড়ানোর আগে ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। বিপিএলের এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে রংপুর রাইডার্স, ঢাকা ক্যাপিটালস, সিলেট টাইটান্স, চট্টগ্রাম রয়্যালস, রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও নোয়াখালী এক্সপ্রেস। বসুন্ধরা গ্রুপের টগি স্পোর্টস মালিকানা পেয়েছে রংপুর রাইডার্সের। চট্টগ্রাম রয়্যালসের মালিকানা দেওয়া হয়েছে ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসকে। এ ছাড়া নাবিল গ্রুপ রাজশাহী, ক্রিকেট উইথ সামি সিলেট ও চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক–হারল্যান) ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজি এবং দেশ ট্রাভেলসের মালিকানায় নোয়াখালী এক্সপ্রেস নামে নতুন দল যুক্ত হয়েছে বিপিএলে। নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে সর্বোচ্চ দুই জন বাংলাদেশি এবং দুই জন বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে অন্তত একজন করে দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি বাধ্যতামূলক। নিলাম থেকে অন্তত দুজন বিদেশি ক্রিকেটার কিনতে হবে দলগুলোকে। সবমিলিয়ে বিদেশি ক্রিকেটারের জন্য ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার খরচ করতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে নিলাম শেষে পছন্দমতো বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে দলগুলো। বিপিএল নিলামে মোট ২৫০ জন বিদেশিকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ডলার। এ ছাড়া ‘বি’ ২৬ হাজার ডলার, ‘সি’ ২০ হাজার ডলার, ‘ডি’ ১৫ হাজার ডলার এবং ‘ই’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১৫ হাজার ডলার। ক্যাটাগরি অনুসারে যথাক্রমে প্রতি ডাকে বাড়বে ৫ হাজার ডলার, ৩ হাজার ডলার, ২ হাজার ডলার, ১ হাজার ৫০০ ডলার এবং ১ হাজার ডলার। বিপিএল নিলামে নাম লেখানো দেশি ক্রিকেটারের মোট সংখ্যা প্রকাশ করেনি বিসিবি। তবে তারা জানিয়েছে, সরাসরি চুক্তিতে দুই ও নিলাম থেকে অন্তত ১২–১৪ জন দেশি ক্রিকেটারকে কিনতে পারবে দলগুলো। স্থানীয় ক্রিকেটারদের ‘এ’ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া ‘বি’ ৩৫ লাখ টাকা, ‘সি’ ২২ লাখ টাকা, ‘ডি’ ১৮ লাখ টাকা, ‘ই’ ১৪ লাখ টাকা এবং এফ ক্যাটাগরির স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১১ হাজার টাকা। ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রতি ডাকে ৫ লাখ টাকা করে বাড়বে। এ ছাড়া ‘বি’ ৩ লাখ টাকা, ‘সি’ ১ লাখ টাকা, ‘ডি’ ৫০ হাজার টাকা, ‘ই’ ৩০ হাজার টাকা এবং এফ ক্যাটাগরিতে বাড়বে ২০ হাজার টাকা করে। ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত একজন ক্রিকেটার নিতে হবে। পরবর্তীতে যথাক্রমে ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত তিনজন করে ক্রিকেটার নিতে হবে। ‘ই’ ক্যাটাগরি থেকে অন্তত ২ জন এবং ‘এফ’ ক্যাটাগরি থেকে ইচ্ছে মতো নিতে পারবে দলগুলো। স্থানীয় ক্রিকেটারের জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বাজেট পাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। তবে সেই টাকার বাইরে থাকবেন সরাসরি চুক্তিতে দল পাওয়া দুজন দেশি ক্রিকেটার। ম্যানেজার, কোচ, বিশ্লেষকসহ ১২ জন দলীয় কর্মকর্তাকে নিবন্ধন করাতে পারবে দলগুলো।











