বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে বিতর্ক জড়িয়ে থাকে সবসময়। প্রতিবারই ঘটে নতুন ঘটনা। আর সে কারনেই কিনা দিন দিন কমছে বিপিএলের জৌলুশ। এবারও সেভাবে আনা যায়নি বিদেশি ক্রিকেটারদের। এখনও অবধি অনেক কিছুই বেশ অগোছালো। এবারের বিপিএলেও নেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস। এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ।
জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন, তিনি দায়িত্ব নিলে খুব বেশি দিন লাগবে না সবকিছু ঠিক করতে। গতকাল বুধবার গালফ অয়েল বাংলাদেশ লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাকিব বলেন, আমাকে যদি (বিপিএলের) প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব দেয়া হয়, তাহলে বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা এক থেকে দুই মাস লাগবে সর্বোচ্চ। সবকিছু ঠিক করতে। দুই মাসও লাগার কথা না। দুই মাস অনেক দূরের কথা বলছি। একদিনেও অনেক কিছু করা সম্ভব। যে করতে পারে সে সব করতে পারে।
এই পুরো সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে, সব আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে। বিপিএল নিয়ে বিসিবি সবসময়ই স্পন্সরের সংকটের কথা বলে। সাকিব অবশ্য বিশ্বাস করেন না টাকার অভাব। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটের বাজার বেশ বড়। বিসিবি কর্তাদের স্বদিচ্ছার অভাবকেও দায়ী করেছেন সাকিব। তিনি বলেন, পারিনি নাকি চাইনি জানি না। বলাটা কষ্টকর । চাইলে না পারার কোনো কারণ আমি দেখি না।
আমার মনে হয় আমরা সৎ মনে কখনও চাইনি কিছু করতে এখন পর্যন্ত। বলা হচ্ছে বাজেট নেই। আমরা বাজেট তৈরি করতে পারিনি। যদি তৈরি করতে পারতাম, মান অর্জন করতে পারতাম অবশ্যই এই বাজেটটা অনেক বড় হওয়ার কথা ছিল। গ্রামের এমন কোনো প্রত্যন্ত অঞ্চল দেখবেন না যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে এটার জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এতো পছন্দের একটা খেলা এটার বাজারটা থাকবে না এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। স্পন্সর সংকট নিয়ে সাকিব বলেন, আমার ধারণা এটা মার্কেটিংয়ের জায়গা থেকে বড় একটি ব্যর্থতা। যে কারণে আমরা সেই রকম একটা বাজার তৈরি করতে পারিনি। (ডিআরএস নেই) বাজেট সঙ্কট সম্ভবত। স্বদিচ্ছা থাকলে কোনো কিছু থেমে থাকার কারণ দেখি না।