বিপর্যস্ত জনজীবনে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আসুক

| বৃহস্পতিবার , ৯ মার্চ, ২০২৩ at ৫:০৮ পূর্বাহ্ণ

স্বর্ণ গলাতে পোড়ানো হয় নাইট্রিক অ্যাসিড। আর গয়নার সৌন্দর্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয় সালফিউরিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিড পোড়াতে চিমনি ব্যবহারের বিধিনিষেধ থাকলেও চট্টগ্রামের বস্ত্র ও বই ব্যবসার কেন্দ্র আন্দরকিল্লার হাজারী লেইন এলাকার স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। উপরন্তু অধিকাংশ জুয়েলারি কারখানার পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই। অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইন২০০২ অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ এলাকায় রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের শতাধিক স্বর্ণের দোকান। দোকানগুলোতে স্বর্ণ পোড়ানোর কাজে অবাধে অ্যাসিড ব্যবহার হচ্ছেই। অথচ অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ নম্বর ধারায় এমন অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন তিন বছর থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। কারখানাগুলো থেকে দিনরাত নির্গত হচ্ছে অ্যাসিড পোড়ানোর গ্যাস। শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, চর্মরোগ, চক্ষুসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এখানকার মানুষ। এখানকার কারখানার কাজে ব্যবহৃত নাইট্রিক এসিড ও সালফিউরিক এসিড নিঃসৃত ধোঁয়া কারখানার স্বল্প দৈর্ঘ্য পাইপ দিয়ে পৌঁছে যাচ্ছে পাশের বাড়িঘরে। দরজাজানালা বন্ধ করেও রক্ষা পাচ্ছেন না। অ্যাসিডের ধোঁয়ায় শুধু বাতাসই বিষাক্ত হচ্ছে না, ঝাঁঝে মানুষের নিশ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। এলাকায় ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ এবং গ্যাস ব্যবহারে সংশ্লিষ্টদের জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।

নেজাম উদ্দিন

আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনারী মানে নদী
পরবর্তী নিবন্ধমদনমোহন তর্কালঙ্কার : কবি ও সমাজসংস্কারক