বিপন্ন প্রজাতির একটি পেঁচা ও দুটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

লোহাগাড়ায় চার পাচারকারী গ্রেপ্তার

লোহাগাড়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার আমিরাবাদে মোটরসাইকেলযোগে পাচারকালে বিপন্ন প্রজাতির একটি পেঁচা ও দুটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় গ্রেপ্তার হয় চার পাচারকারী। গতকাল শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামকক্সবাজার মহাসড়কে ইউনিয়নের বার আউলিয়া কলেজ গেট এলাকা থেকে দুই মোটর সাইকেলসহ চার পাচারকারী গ্রেপ্তার হন।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, পার্বত্য বান্দরবানের আলীকদম থানার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দানু সরদার পাড়ার মো. আনোয়ার হোসেনের পুত্র মো. মোবারক হোসেন (২৭), উত্তর পালং পাড়ার মো. সৈয়দ আলমের পুত্র মো. মহিউদ্দিন (২৪), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পূর্ব পালং পাড়ার মৃত আমির হোসেনের পুত্র সাদ্দাম হোসেন (২৭) ও খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বয়রা হাফেজ সাহেবের বাড়ির মৃত দিলু সিকদারের পুত্র মো. আজাহার সিকদার (৪২)

লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান জানান, আলীকদম থেকে দুই পাচারকারী মোটরসাইকেল যোগে বন্যপ্রাণীগুলো নিয়ে বার আউলিয়া কলেজ গেট এলাকায় আসেন অপর দুই পাচারকারীকে হস্তান্তরের উদ্দেশ্যে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের উপস্থিতি নিরূপণ করে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে চার পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বিপন্ন প্রজাতির একটি পেঁচা ও দুটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।

পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়।

লোহাগাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, গ্রেপ্তার পাচারকারীরা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিপন্ন প্রজাতির এই প্রাণীগুলো নিয়ে যাচ্ছিল। বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ এর ৩৪() ধারা অনুযায়ী এভাবে বন্যপ্রাণী ক্রয়বিক্রয় এবং আমদানিরপ্তানি করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাদের অপরাধ স্বীকার করায় আইন অনুযায়ী প্রত্যেককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

তাদের লোহাগাড়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া বিরল প্রজাতির প্রাণীগুলো ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে প্রেরণের জন্য চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেনের জিম্মায় দেয়া হয়।

অভিযানে লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, এসআই রুহুল আমিন খান, এসআই শরিফুল ইসলাম, এএসআই আলমগীর হোসেনসহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদিনে খালের, রাতে বিক্রি হয় ফসলি জমির মাটি
পরবর্তী নিবন্ধসন্তানের মুখ দেখা হলো না প্রবাসী রাশেদের