চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকা বিপজ্জনক কেমিক্যাল ধ্বংস করার প্রক্রিয়া গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয়েছে। ৫৩ লটে ৪৮ হাজার ৮৭০ কেজি কেমিক্যাল পণ্য ধ্বংস করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরামর্শে সুনামগঞ্জের ছাতকে লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেডের কারখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর আগে এসব কেমিক্যাল নিলামে বিক্রির চেষ্টা করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে অনেক পণ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়, আবার বিডারদেরও আগ্রহ ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ধ্বংস করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ধ্বংস তালিকায় কঠিন পদার্থ, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, ব্লাঙ্ককিট, ডাইথোনাইট এবং সালফক্সিলেট, হাইড্রোক্লোরাইড, নাইট্রো গ্লু সলিউশন, কস্টিক সোডা, ফার্মাসিউটিক্যাল উপাদান, বেভারেজ কনসেন্ট্রেটসহ বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল রয়েছে। গত ১০-১৫ বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রি-কেমিক্যাল শেডে এসব কেমিক্যাল রাখা হয়েছিল। কাস্টম হাউস, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তিনটি কাভার্ডভ্যানে করে গতকাল সুনামগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি কেমিক্যাল আগামী কয়েকদিনের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ৬ ডিসেম্বর সেগুলো ধ্বংস করা হবে।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার উপকমিশনার (নিলাম শাখা) ফয়সাল বিন রহমান জানান, চট্টগ্রামে ডিও প্রকল্প না থাকায় পরিবেশ অধিদপ্তর কেমিক্যালগুলো সুনামগঞ্জে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। ডিও প্রকল্পের নিয়মানুযায়ী কেমিক্যালগুলো দুই হাজার ডিগ্রি উত্তপ্ত আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হবে।