ইদানীং শিক্ষা ব্যবস্থা, মানুষের চালচলন এবং ব্যবহার অর্থাৎ কথা বলার ধরন এমন এক পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, ভাবতে অবাক লাগে। এক আজব সময় পার করছি। এর শেষ কীভাবে হবে তা জানা নেই। যে আচরণ বা গুণে মানুষকে সত্যিকার অর্থে বড় বা মহান করে তোলে সেটা হচ্ছে সম্মান করা, ভদ্রভাবে কথা বলা বা বিনয়ের সাথে কথা বলা। যা এখন খোঁজে পাওয়া যায় না। অনেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে চুপ থেকে বিনয়ের সাথে কথা বলাকে দুর্বলতা ভেবে নেয়। বিনয় মানে নম্রতা। বিনয়ী হওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। এটা অর্জন করতে হয়। তার জন্য নিজের মধ্যে মৈত্রী, মুদিতা, করুণা, উপেক্ষা, সংযম, ধর্য্যশীল, শান্ত হতে হয়। আত্মাকে জয় করতে হয়। অহংকার ত্যাগ করতে হয়। এতে করে একজন মানুষের সৌন্দর্য প্রকাশ পায়। যে বিনয়ের সাথে কথা বলে সে অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। তার মাঝে প্রজ্ঞা আছে, শিক্ষণীয় থাকে, কথার মাঝে অন্যের হৃদয়কে স্পর্শ করে। নিজের ভিতরে থাকা হিংসা অহংকারকে কোমল করে। বর্তমান সমাজে এখন সব চেয়ে দুর্লভ জিনিস হচ্ছে ভদ্রতা বিনয়ী হওয়া। যা এখন দেখা যায় না। এটা একটি অদৃশ্য সৌন্দর্য ও শক্তি। যে শক্তিতে ব্যক্তি জীবন, সমাজ, দেশ এগিয়ে যেতে সহায়ক হয়। বিনয়ীদের কথার মধ্যে শালীনতা থাকে। দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্য আচরণের মাধ্যমে ফোটে উঠে মানুষের সুন্দর চেহারা, অর্থ বা পোষাকে নয়। আচার আচরণ সংযম না হলে কখনই সুশিক্ষিত গণ্য হয় না। মানুষ যতই বড় বা বিত্তশালী হোক না কেন। বিনয় ব্যবহার না থাকলে সে ছোট, কেউ সম্মান করে না বা স্মরণে রাখে না। বিনয়ী হওয়া জন্য কোনো খরচ হয় না বা পুঁজি দিতে হয় না। অমায়িক ব্যবহারে সুনাম ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে কথাটা চেতনায় রাখতে হবে।












