করোনা মহামারীর সংক্রমণ রোধে নগরীর সব বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে গত এক মাস ধরে। এতে কর্মচারীরা কর্মহীন হওয়া ছাড়াও ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কেন্দ্রগুলো। বাংলানিউজ
নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, ফয়’স লেক, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, কাজীর দেউড়ি শিশু পার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স, কর্ণফুলী শিশু পার্ক, পারকি, কাট্টলী সমুদ্র সৈকত, মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন কর্ণফুলীর পাড়, অভয়মিত্র ঘাট, সিআরবি শিরীষ তলাসহ প্রায় সব বিনোদনকেন্দ্রে এখনও জনসমাগমে বাধা রয়েছে।
গত বছরের লকডাউনে বিনোদন কেন্দ্রগুলো প্রায় ৬ মাস বন্ধ ছিল। এসময় বড় অংকের ক্ষতির সম্মুখীন হয় কর্তৃপক্ষ। লকডাউন শেষে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে খুলে দেওয়া হয়। ফলে মানুষ দীর্ঘদিন ঘরে কাটানোর পর একটু স্বস্তি নিয়ে বাইরে আসতে পেরেছিল।
উদ্যোক্তারা বলছেন, ঈদকে ঘিরে এটাই পর্যটন ব্যবসার মূল সময় হিসেবে বিবেচিত হয়। এসময়ে মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বিবেচনা করে সরকার কিছু কিছু সেক্টরে শর্ত আরোপ করে লকডাউন শিথিল করেছে। বিনোদন কেন্দ্রগুলোকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার অনুমতি দিলে তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে।
ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক পরিচালনাকারী সংস্থা কনকর্ডের উপ-ব্যবস্থাপক (মার্কেটিং) বিশ্বজিৎ ষোষ বলেন, “ফয়’স লেক কমপ্লেক্সে বর্তমানে কর্মীদের বেতন সহ আনুষঙ্গিক খাতে মাসে খরচ হচ্ছে প্রায় ৪৫ লাখ টাকা। ঈদ উপলক্ষে বোনাস সহ এই খরচ বেড়ে ৬৫ লাখ টাকার কাছাকাছি কিন্তু পার্ক বন্ধ থাকায় এবার লোকসান গুণতে হবে।” আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে এসব পার্ক খুলে দেওয়া হলে এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেসরকারি ওয়ান্ডার ল্যান্ড গ্রুপের পরিচালনাধীন কাজীর দেউড়ি শিশু পার্কের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক খুলে দেওয়া হলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব।
বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স পরিচালনাকারী ওয়েল এন্টারপ্রাইজের মহাব্যবস্থাপক মো. আলী জনি বলেন, “পার্ক খুলে দেওয়া হলেও জনসমাগম কম হবে বলে আশা করছি। পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে বিগত সময়েও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা কঠোরভাবে মানা হয়েছিল।”
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন পরিচালিত চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. শাহাদাত হোসেন শুভ বলেন, “চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ইতোমধ্যে এখানে সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ করা হয়েছে। প্রশাসনের অনুমতি পেলেই দর্শনার্থীদের জন্য চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া হবে।”