ইট–পাথরের এই নগরীতে আমরা সবাই নিজ নিজ কর্মস্থলে ব্যস্ত। ব্যস্ত জীবনে একটু আনন্দ থাকতে পরিবার–পরিজন নিয়ে আমরা বিনোদন কেন্দ্র কোলাহলমুক্ত পরিবেশে ভালো একটা সময় কাটানোর জন্য যাই। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমরা বিনোদনের জন্য যেসব পার্ক, উদ্যানে কিংবা সমুদ্রে যাই, সেখানে অশ্লীলতায় ভরপুর। এরূপ প্রায় বিনোদন স্পটে দেখা যায় অসামাজিক কার্যকলাপের চিত্র যেন আনন্দকে বিশাদ করে দেওয়ার মতো। বিনোদন কেন্দ্রে আমরা শিশু–কিশোরদের নিয়ে যাই, সেখানে তার কী দেখছে? কী শিখছে? তা চিন্তার বিষয়ও বটে? মন ভালো করার জন্য বিনোদন কেন্দ্রে গেলে সেখানে এমন অপ্রীতিকর পরিবেশ দেখে উল্টো বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় আমাদের। এসব দেখার যেন কেউ নেই?
কিছুদিন আগে ঢাকায় আর্মি স্টেডিয়ামে আতিফ আসলামের কনসার্ট হয়েছে। সেখানে যুবক–যুবতী, শিশু–কিশোরদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। গান শুনার নামে এমন দৃশ্য দেখতে হবে! অনেকেই তা কল্পনাও করতে পারেনি। গানের পাশাপাশি যুগলদের ভাব–ভঙ্গিমার চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ নিশ্চয় আপনারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন। এমন পরিবেশে ছোটরা কী শিখছে তা বরাবর প্রশ্ন থেকেই যায়। আমরা কীভাবে আগামী প্রজন্মকে সুস্থ–সুন্দর সমাজ উপহার দিব, তা ভাববার বিষয়। চিত্তবিনোদনের জন্য বিনোদনকেন্দ্র ও কনসার্টের প্রয়োজন আছে। তাই বলে অসুস্থ সংস্কৃতিতে লালন করে নয়, এসব অপসংস্কৃতিা–অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে বিনোদনকেন্দ্র ও কনসার্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করছি।