অনলাইনে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্মার্টফোন কিনতে শিক্ষা ঋণ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩ হাজার সাতশ’ পঞ্চাশ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী।
তালিকায় থাকা চবি’র প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে শিক্ষাঋণ দিবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউজিসি সদস্য ও চবি শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু তাহের।
তিনি বলেন, “করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমকে চালিয়ে নিতে এবং শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে আগামী মাসের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই ঋণ প্রদান করবে ইউজিসি।”
তিনি আরও বলেন, “ঋণ পাওয়ার থেকে সনদপ্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত যেকোনো সময় শিক্ষার্থীরা ঋণ সমান চার কিস্তিতে বা এককালীন পরিশোধ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ঋণসংক্রান্ত নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যত দ্রুত তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে তত দ্রুত শিক্ষার্থীরা ঋণ পাবে।”
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু তাহের বলেন, “শিক্ষার্থীদের ঋণ দেয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেটের সহজলভ্য প্যাকেজ সরবরাহের জন্য আমরা সিম কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। খুব দ্রুতই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে।”
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৫ জুন ইউজিসি’র সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক সভায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর জুলাই থেকে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়।
এতে স্মার্টফোন না থাকায় ও ইন্টারনেটের উচ্চমূল্যের কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। এজন্য গত বুধবার ইউজিসির এক ভার্চুয়াল সভায় দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে আট হাজার টাকা করে ঋণ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।












