তালিকা করে লোক পাঠানোর পরও বিনামূল্যের চাল নেওয়ার লোক ‘পাওয়া যায়নি’ জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এমন অর্জনই সরকারের সফলতা। গতকাল বুধবার দুপুরে রাজধানীতে কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের।
অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য অনেক কিছু করছি। এর মধ্যে বলা হয় দেশে ঈদ করার মতো পরিবেশ নাই। অথচ গ্রামে গিয়েছি একজন চেয়ারম্যান আমাকে বলছে, তার কাছে ৬ বস্তা ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) এর চাল রয়ে গেছে। তালিকা করে লোক পাঠানোর পরেও ভিজিএফ এর বিনামূল্যের চাল নিতে কেউ আসেনি। ভিজিএফ এর বিনামূল্যের চাল নেওয়ার আগ্রহ তাদের নাই। এটা হচ্ছে আজকের বাংলাদেশ।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা ভিজিএফ এর চাল দেই। গিয়ে দেখি পাইকাররা বসে থাকে। জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা বসে আছ কেন? তারা বলে কেউ চাল ঘরে নেবে না। কেন? কারণ মোটা চাল খায় না। এটা বিক্রি করে সরু চাল কিনবে। ৬ বস্তা চাল আসেই নাই নেওয়ার জন্য।
রোজার ঈদের সকালে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থার সমালচনা করে বলেছিলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা সম্ভব নয়।
তার প্রতিক্রিয়ায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক নিজ গ্রামের ওই ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, কাজেই ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা যে বলেন, ঈদ করার পরিবেশ নাই, সেটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, এই দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা, আশ্বিন-কার্তিক মাসে, বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসে, আমরা যেটা দেখেছি, সেই অবস্থা থেকে দেশ আজকে এই অবস্তায় এসেছে, এটাই আমাদের অর্জন, সাফল্য।
কৃষিমন্ত্রী জানান, চলতি বছর কৃষকদের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। ২০২২-২৩ সালের বাজেটে কৃষিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দেওয়া হবে। বাংলাদেশে কৃষি গবেষণাকে এগিয়ে নিতে ২০০৮ সালে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়।