বিদ্রোহী যারাই হোক তাদের রক্ষা নেই, দলের সিদ্ধান্ত কঠিন

চট্টগ্রামে আ’ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদেরকে বেঈমান-মুনাফেক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন বলেছেন, ‘আমি যেমন খুনি মোস্তাক আর জিয়াকে ঘৃণা করি-এই বিদ্রোহীদেরও আমি সেই ভাবে ঘৃণা করি। বিদ্রোহী যারাই হোক তাদের রক্ষা নেই।’ বিদ্রোহীদের বর্জনের আহ্বান জানিয়ে আহমদ হোসেন বলেন, যারা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে, দলের সভানেত্রীর নির্দেশ না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে সর্বক্ষেত্রে বর্জন করতে হবে। তারা হলো (বিদ্রোহীরা) দলের আবর্জনা। পার্টিতে আমরা আবর্জনা রাখবো না। পার্টিকে আবর্জনা মুক্ত করবো।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন উপলক্ষ্যে তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম এসে সাংবাদিকের মুখোমুখি হন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুষ্টু গরু আমরা রাখবো না। দুষ্টু গরু থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে কাউন্সিলর পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা আর দলে থাকতে পারবেন না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এ নেতা বলেন, তাদেরকে বহিস্কার করা হবে। যারা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন তারা স্ব উদ্যোগে হয়েছেন। দলীয় শৃক্সখলা ভঙ্গ করে হয়েছেন। আমাদের পার্টির সিদ্ধান্ত কঠিন। দলীয় সভানেত্রী বলে দিয়েছেন, যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হবে তারা ভবিষ্যতে আর কোনো নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাবেন না এবং তারা আর পার্টিতে স্থান পাবেন না। আর যারা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সাপোর্ট করবে তাদেরও আইডেন্টিফাই করবো। তাদের বিরুদ্ধেও আমরা অ্যাকশনে যাবো।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আমাদের জন্য রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে আমাদের জিততে হবে। আমরা এখানে পরাজিত হতে আসিনি। আমরা জয়ী হতে এসেছি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে শুধু চট্টগ্রামের বেলায় নয় সারাদেশের জন্য আমরা একই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্রোহী প্রার্থী মানেই হলো দলীয় শৃক্সখলা ভঙ্গকারী। এরা সারাবছর বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে, শেখ হাসিনার স্লোগান দেয় আর নির্বাচন আসলেই হয়ে যায় বিদ্রোহী প্রার্থী। তার মানে হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি তার বিশ্বাস নেই, দলীয় নেতৃত্বের প্রতি তার আনুগত্য নেই।
নির্বাচন কমিশনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন একটি সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে উল্লেখ করে আহমদ হোসেন বলেন, মানুষ আগের পৌর নির্বাচনগুলোতে ভোট দিয়েছেন। কোনো সমস্যা হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন, কোনো সমস্যা হয়নি। শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রচারণা চলছে। এতে বুঝা যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একটি ভালো নির্বাচন হবে। এর মাধ্যমে আমরা বলতে পারবো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দেশে ভালো নির্বাচন হয়। এখানে আমরা কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবো না।
নগরীর লালখান বাজার মোড়স্থ একটি হোটেলে আহমদ হোসেন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এরপর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন একান্তে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকা ছাড়ছে বেক্সিমকো, প্রতি ডোজ ১১২৫ টাকা
পরবর্তী নিবন্ধচসিক নির্বাচন সামনে রেখে তৎপর কিশোর গ্যাং