চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। এসময় তিনি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়াতে ঘরে ঘরে গিয়ে উদ্ধুদ্ধ করতে দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন। বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে তিনি বলেন, যারা বিদ্রোহীদের পৃষ্ঠপোকতা করছে তাদের ব্যাপারেও কঠোর সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত আসতে পারে। গতকাল শুক্রবার সকালে রেজাউল করিম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দর সাথে নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি, আমরা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কাজ করতে পারিনা। তাছাড়া মনোনয়ন চেয়ে যারা আবেদন করেছিলেন প্রত্যেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে দল সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। অন্যথায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দলীয় পদ হারাবেন বলে মুচলেকায় উল্লেখ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার যুগপূর্তি, মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা নৌকার বিজয়ের মধ্য দিয়ে পালন করতে চাই। দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী হিসেবে চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে আমাদের প্রার্থীর বিজয় অত্যন্ত গুরুত্ববহন করে। বক্তব্যে তিনি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে গিয়ে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।
নির্বাচনী পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরো বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বত:স্ফূর্ত ভোটার উপস্থিতিতে হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই দশকে বাংলাদেশ কতদূর এগিয়েছে তা তুলে ধরতে পৃথক পৃৃথক কর্মসূচি নিয়ে পাড়া-মহল্লায় গিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়ে বলেন, ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ হয়ে এই কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করে ঘরে ঘরে উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে হবে।
মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী, গণমানুষের রায়ে বিশ্বাসী। সুষ্ঠু, সুন্দর ও উৎসবমূখর পরিবেশে উন্নয়নের প্রতীক নৌকায় ভোট দিতে মানুষ ভোট কেন্দ্রে আসবে বলে আমি আশাবাদী। গণসংযোগে নৌকা ও আওয়ামী লীগের প্রতি স্বতঃস্ফূর্ত মানুষের অংশগ্রহণ দেখে বিএনপি নানা অজুহাত তুলে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে সরে গিয়ে পরাজয়ের গ্লানি এড়াতে চাইছে।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. বেলাল হোসেন, মীরসরাই উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মো. গিয়াস উদ্দিন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমূখ। আওয়ামী লীগ, অংগ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।