পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বোয়ালখালীর ৭ ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫ জানুয়ারি। এখানে ৭ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন মোট ২৫ প্রার্থী। এদের মধ্যে কমপক্ষে ৩ ইউপিতে রয়েছে আওয়ামী লীগের ৩ বিদ্রোহী প্রার্থী। এরা হচ্ছেন চরণদ্বীপ ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সামশুল আলমের বিপক্ষে আনারস প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সমপাদক মো. নুরুল আমীন খান, শ্রীপুর-খরনদ্বীপ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মোকারমের বিপক্ষে আনারস প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক মো. জমির ও শাকপুরা ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুল মোনাফ মান্নানের বিপক্ষে আনারস প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. গিয়াস উদ্দিন সোহেল। অভিযোগ রয়েছে এরা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন। অথচ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ কোনো নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে এমন নির্দেশনা থাকলেও বোয়ালখালীতে তা উপেক্ষিত হতে দেখা যাচ্ছে। শাকপুরা ইউপিতে নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী আবদুল মোনাফ মন্নানের অভিযোগ-তার প্রতিপক্ষ বিদ্রোহী প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন সোহেল আওয়ামী লীগ কর্মী-সমর্থকদের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টিসহ সাধারণ ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। যা আমরা ইতিমধ্যে দলীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি।
শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ মোকারমের অভিযোগ, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আনারস প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমপাদক জমির উদ্দীন ও তার বহিরাগত লোকজন এলাকায় সাধারণ ভোটারদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। ভোট কেন্দ্র দখল ও ভোটারদের ভোট দিতে না যাওয়ার জন্য অনবরত হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার এমন হুমকিতে আমার ভোটাররা এখন খুবই আতঙ্কিত। একই অভিযোগ চরণদ্বীপ ইউপির আনারস প্রতীকে বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুল আমিন খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সামশুল আলমেরও। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুরুল আমিন চৌধুরী বলেন, দলীয় গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা অনুযায়ী দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে মনোনয়ন দাখিলকারী বিদ্রোহী প্রার্থীদের ১৯ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য অবগত করা হয়েছিল। এর মধ্যে দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কেউ কেউ প্রত্যাহার করে নিলেও অনেকেই করেননি। কেন্দ্রের নির্দেশ রয়েছে যাঁরা দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করবে, তাঁদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। যারা করেননি তাদের ব্যাপারে আমরা কেন্দ্রকে জানিয়েছি। এখন কেন্দ্রের নির্দেশনা পেলেই তাদের বিরুদ্ধে সে ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই আমাদের।