কোচ পিটার জেমস বাটলারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়ে বাইরে চলে যাওয়া এবং ওই টানাপোড়েনের সময় দলে থেকে যাওয়া, সব ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি হবে বলে জানিয়েছিলেন বাফুফের কর্মকর্তারা । অবশেষে সে কথাই বাস্তবায়ন হলো। ‘বিদ্রোহী’ ১৮ জন সহ মোট ৫৩ জন নারী ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, আফঈদা–রিপাদের পাশাপাশি সাবিনা–মারিয়াদের সঙ্গেও চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এর আগে ৩৫ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। এবার বাকি ১৮ জনের সাথেও চুক্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বর্তমানে ৫৩ জন। তবে তাদের বেতনের বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু জানাচ্ছি না। পরে বিস্তারিত জানাব। বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অবশ্য গুঞ্জনের শেষ নেই। সাবিনা–মনিকাদের মতো ‘সিনিয়রদের’ বেতন পাঁচ হাজার থেকে বেড়ে ৫৫ হাজার হয়েছে বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। সিনিয়রদের বেতন নিয়ে জুনিয়রদের উষ্মার কথাও এসেছে গণমাধ্যমে। তিন ক্যাটাগরিতে সর্বনিম্ন বেতন ধার্য করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা। অক্টোবরে নেপালে উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের পর গত ৩০ জানুয়ারি বাটলারের কোচিংয়ে আর না খেলার ঘোষণা দেন ১৮ নারী ফুটবলার। তাদের মধ্যে বর্তমানে ১০ জন ভুটানের লিগে খেলতে গেছেন। বাকিরা অবশ্য অচলাবস্থার অবসানের পর থেকে অনুশীলন করছেন বাটলারের অধীনে। ভুটানে খেলতে যাওয়া ১০ জন (সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মানডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও মাতসুশিমা সুমাইয়া) অনলাইনের মাধ্যমে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন। এই ১০ জনকে ছাড়াই জর্ডান ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাটলার। আগামী ৩১ মে জর্ডান ও ৩ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে খেলবে মেয়েরা। দুটি ম্যাচই হবে জর্ডানে। এই ম্যাচ দুটি উপলক্ষ্যে অবশ্য ভুটানে থাকা ১০ জনের মধ্যে মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে ডেকেছেন বাটলার। তবে তারা এখনও যোগ দেননি অনুশীলনে।
