শতভাগ বিদ্যুতায়নের সফলতা অর্জন হয়েছে মাত্র কয়েক মাস আগে। দেশ জুড়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতাও দাঁড়িয়েছে যে কোনো সময়ের চাইতে বেশি। কখনও কখনও চাহিদার চাইতে প্রায় দ্বিগুণ পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে দেশে। বিদ্যুতের লোডশেডিং শব্দটি মানুষ এক প্রকার ভুলতে বসেছিল। বর্তমানে আবারও লোডশেডিং এর কারণে দেশ অন্ধকার। লোডশেডিং এ আকাল জনজীবন। দেশের এহেন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবচাইতে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও তিনি লোডশেডিংয়ের জন্য এলাকা ভিত্তিক সময় নির্ধারণ করে দেয়ার পরামর্শ দেন। ৫ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারন্সের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক দেশে এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার। অনেক উন্নত দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হযেছে’।
লোডশেডিং এর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। তাই আপাতত কৃচ্ছতা সাধনের বিকল্প নেই। তবে পেট্রোবাংলার দাবি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য মাত্র ৭ থেকে ৮ শতাংশ পরিমাণ গ্যাসের সরবরাহ কমেছে। যা একেবারেই সামান্য। এক্ষেত্রে রিজার্ভে হাত না দিয়ে বা তেল দিয়ে উৎপাদন না করে জনগণের ভোগান্তি বাড়িয়ে লোডশেডিং করাকে অমানবিক আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে। কিন্তু পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসানের বক্তব্য ভিন্ন। ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চাহিদার ৩ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের মধ্যে ২৮২০ বা ২৮২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে। ঘাটতি মাত্র ২০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মত। মূলত স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম বাড়ার কারণেই আমাদের এ সঙ্কট। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম অনেক বেশি হওয়ায় আমরা আপাতত এলএনজি কিনতে পারছি না। যতদিন দাম না কমে অথবা দেশীয় উৎপাদন না বাড়ে ততদিন লোড ম্যানেজম্যান্ট করেই আমাদের চলতে হবে। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির বাজার এখন অস্থির।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে আমাদের অবস্থা আলাদা নয়। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে’। বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুতের উৎপাদন কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। দেশে দিনে গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৩৭০ কোটি ঘনফুট, কিন্তু সরবরাহ হলো ৩০০ কোটি ঘনফুট। বাকিটা বিদেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে সঙ্কট মোকাবেলা করা হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী তেল ও গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সরকার এলএনজি ও তেল আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। বিবিসির ভাষ্য মতে, দিনে তেল আমদানিতে ১০০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যনুযায়ী যেখানে বাংলাদেশের প্রচুর প্রাকৃতিক গ্যাস আছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে সেখানে জ্বালানি খাতে এতো বিপর্যয় কেন? তা এখন বিরাট প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘পরনির্ভর জ্বালানি নীতি দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এছাড়া গ্যাস নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ না করে কয়লা বা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা উচিত। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতামতকে উপেক্ষা করে সহজভাবে সরকারের আমলারা গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে স্বাছন্দ্য বোধ করেছেন বেশি। অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতাই দেশে বর্তমান বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সঙ্কটের বড় কারণ। প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহের সমস্যা এবং মূল্য বৃদ্ধির কারণেই বিশ্বব্যাপী এখন জ্বালানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে অর্থনৈতিক সঙ্কটকে বিশেষজ্ঞরা সত্তরের দশকের বিশ্ব অর্থনীতির মন্দার সাথে তুলনা করছেন। এই অর্থনৈতিক সঙ্কটের মূল কারণ হলো প্রাকৃতিক গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে অনেক চড়াই উত্তরাই পেরিয়ে ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমা বিরোধের মীমাংসা হয়। ২০১২ সালের ১৪ মার্চ মিয়ানমারের কাছ থেকে বাংলাদেশ ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটার এবং ২০১৪ সালের ৮ জুলাই ভারতের কাছ থেকে প্রায় ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। সেখানেও তেল গ্যাস অনুসন্ধানে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ সরকার । অথচ মিয়ানমার সেখানে ঠিকই গ্যাস পেয়েছে। গ্যাস হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে আলোকিত পণ্য। বিশ্বব্যাপী যে মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে, তার মূল কারণ গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি। গত এক বছরে কেবল ইউরোপের বাজারেই গ্যাসের মূল্য বেড়েছে ৭০০ শতাংশ যা অর্থনীতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এক সময় বিশ্ব অর্থনীতি ও রাজনীতি নির্ধারণ করে দিতে জ্বালানি তেল। সেই জায়গা একবার দখল করেছে গ্যাস।
আশা করা গিয়েছিল, সমুদ্র বিজয়ের পর সরকার সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানের দিকে জোর প্রচেষ্টা গ্রহণ করবে। কিন্তু গত আট বছরেও এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ২০১৬ সালের ঘোষিত সরকারের পাওয়ার সিস্টেম মাষ্টার প্ল্যানে জ্বালানি আমদানির ওপরই গুরুত্ব দেয়া হয় বেশি। ফলে বাংলাদেশের জ্বালানি খাতকে পুরোপুরি আমদানি নির্ভর করা হয়েছে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ খাতের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। লোডশেডিং নামক বিষয়টা যাদুঘরে চলে গিয়েছিল। সরকার রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সরকার জরুরি অবস্থা মোকাবেলার জন্য বেসরকারি উদ্যোগে কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে। প্রায় একযুগ পরও সেই রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঠিকিয়ে রাখার বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কার স্বার্থে কী কারণে এ ব্যবস্থা এখনো বর্তমান? এফবিসিসিআই প্রশ্ন তুলেছে এ বিষয়ে এবং বিদ্যুৎ খাতের অদক্ষতার বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে,‘এফবিসিসিআইয়ের এ সমালোচনা যৌক্তিক’। তাদের মতে, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কম ছিল তখন সরকার অভ্যান্তরীণ বাজারে বেশি দামে তেল বিক্রি করেছে এবং লাভ করেছে। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি এই অজুহাত দেখিয়ে আমদানি কমিয়ে দেওয়া হলে সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় মানুষের জীবনযাত্রা শুধু ব্যাহত হচ্ছে না, শিল্প কারখানায় উৎপাদনও কমেছে। চট্টগ্রাম সহ সারাদেশে অনেক কারখানায় লোডশেডিং এর কারণে উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। অনেকে শিল্প কারখানার কোয়ালিটি বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এখনো কোয়ালিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারেনি, আগামী পাঁচ বছরেও পারবে কিনা সন্দেহ। একদিকে কোয়ালিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নতা অপরদিকে লোডশেডিং।
ফলে শিল্প কারখানার উৎপাদন হুমকির সম্মুখীন এবং মেশিনারিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী যেসব শিল্পে কোয়ালিটি বিদ্যুৎ প্রয়োজন সে সব শিল্পে মাধ্যমে নিজস্ব উদ্যোগে ক্যাপটিভ খাতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিল্পে উৎপাদনের পরিকল্পনা নিতে দেয়া উচিত। এসব শিল্পে ক্যাপটিভ খাতে গ্যাস সংযোগ না দিয়ে এবং কোয়ালিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পেরে শিল্প বিকাশ রুদ্ধ করা হচ্ছে। এতে শিল্প বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে যা সরকারের শিল্পোন্নয়নে অগ্রাধিকারের যে পরিকল্পনা তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এতে সরকারের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বেশি বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির পথ রুদ্ধ হচ্ছে। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করে সুচিন্তিত ও দূরদর্শিতা সিদ্ধান্ত এখন জরুরি হয়ে পড়েছে। কয়েক মাস আগে বিদ্যুৎ বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে ২৫ হাজার মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এর সবটুকুই কি গ্যাস বা তেলের ওপর নির্ভরশীল? যদি তাই হয় তবে এ আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হল? বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘তেল-গ্যাসের বিকল্প এবং খরচ সাশ্রয়ী জ্বালানি হিসাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো উৎপাদনে গেলে বর্তমান সময়ে তেল ও গ্যাসের ওপর নির্ভর করতে হতো না।
আমাদের মনে রাখতে হবে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যেও বাংলাদেশ রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানি করেছে। বিশেষ করে তৈরি পোষাক, চামড়া ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে বেশি। এ অবস্থায় ঘন ঘন লোডশেডিং হলে এবং কোম্পানি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারলে উৎপাদন যেমন ব্যাহত হবে তেমনি রপ্তানি আয়ও কমে যাবে। তাই যে কোনো মূল্যে নিরবিচ্ছিন্ন এবং কোয়ালিটি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজনে সরকারকে এখাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে গ্যাস কোম্পানীগুলো গ্যাসের চরম সঙ্কট দেখিয়ে শিল্প কারখানায় গ্যাস রেশনিং শুরু করেছে। সার এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখতে গিয়ে শিল্প কারখানায় রেশনিং। সেটিও একপ্রকার আত্মঘাতি ও অবিবেচনা প্রসূত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শিল্প কারখানায় গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে বিকল্প চিন্তা করা এখন জরুরি। সাথে গ্যাসের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে স্থল ও সমুদ্রভাগে নতুন নতুন গ্যাস ক্ষেত্র অনুসন্ধান, আবিষ্কার ও উত্তোলন চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের দেশীয় বিশেষজ্ঞদের কাজে লাগিয়ে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের দায়িত্ব গতিশীল করে জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। জ্বালানি খাতের সক্ষমতা বাড়াতে পারাটাই দেশের অর্থনীতির জন্য জরুরি।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অপরিহার্য। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সক্ষমতার উপর নির্ভর করবে দেশের শিল্পোন্নয়ন। ইতিমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী পরিকল্পনায় দেশে শিল্প বিপ্লবের যুগের সূচনা হয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম রপ্তানি এলাকা শিল্প স্থাপনের জন্য প্রস্তুত। বেসরকারি পর্যায়ে আরো শিল্প এলাকা গড়ে উঠেছে এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে শিল্প ও ক্যাপটিভে গ্যাস সংযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জ্বালানি খাতকে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতে হবে। সামনে সঙ্কট গভীরে যাচ্ছে। উত্তরণের রাস্তা একটাই তা হলো গ্যাস অনুসন্ধান করে দেশীয় গ্যাস আবিষ্কার করা। অন্যথা আমাদের যেন শক্ত অবস্থান তা ভেঙে পড়বে। দেশের জন্য উন্নয়নের স্বার্থে বিষয়টি জরুরি।
লেখক : প্রাবন্ধিক; সম্পাদক, শিল্পশৈলী