সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে অভিযানে আলীনগরের পুরো অংশে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় নাইট সাফারি পার্কের জন্য ৫৭.৫০ একর জায়গায় লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়া সলিমপুরের শেষ অংশে ও আলীনগর প্রবেশের আগেই নিরাপত্তা চৌকির জন্য একটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিরাপত্তা চৌকির জন্য মাঝামাঝি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে উভয় অংশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। গতকাল বিকালে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সীতাকুণ্ড সার্কেল) আশরাফুল করিম, সীতাকুণ্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদসহ ভূমি অফিস, পুলিশ ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
এদিকে জঙ্গল সলিমপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও আলীনগরের স্বঘোষিত রাজা ইয়াসিন মিয়ার (৫২) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ খানের আদালতে পুলিশ সাত দিনের আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে এই সরকারি জায়গাগুলো দখল করে রেখেছিল ইয়াছিন ও তার বাহিনী। তারা এই জায়গাগুলো প্লট আকারে বিক্রি করতো। একই সময়ে জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগর এলাকায় অবস্থিত সকল সমবায় সমিতির নিবন্ধনের বাতিল বলে ঘোষণা দেন তিনি।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশিদ বলেন, প্রশাসনের গাড়ি বহর থেকে নামিয়ে ইউপি সদস্যকে মারধরের ঘটনায় গত ১৮ জুলাই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম জিহান সানজিদার আদালতে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তিনি আরও জানান, ইয়াছিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, গুম ও নাশকতাসহ সীতাকুণ্ড থানায় ৮টিরও অধিক মামলা রয়েছে। এ সকল মামলার মধ্যে একটি মামলায় তাকে রিমান্ডে আনা হচ্ছে। এর আগেও তাকে একদিনের রিমান্ডে আনা হয়েছিল। তখনও তার কাছ থেকে জঙ্গল সলিমপুর ও আলীনগরের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি।