বিদ্যুৎ জ্বালানির সব চুক্তি প্রকাশ চায় বিএনপি

| শুক্রবার , ৩ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৬:২১ পূর্বাহ্ণ

গণআন্দেলনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব চুক্তি জনসমক্ষে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এ খাতে সত্যিকার অর্থে টেকসই উন্নয়ন হয়নি মন্তব্য করে দলটি বলেছে, বিদ্যুৎ খাত যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। ‘গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনিয়মদুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ লুটপাট ও পাচার’ শীর্ষক বিশ্লেষণ তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিএনপি মহাসচিব। খবর বিডিনিউজের।

বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতিঅনিয়মের চিত্র তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, যিনি বিগত চারদলীয় জোট সরকারের বিদ্যুৎ জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। টুকু বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতে ম্যাজিক দেখানোর নামে একটা ব্যবসার খাত খুলে বসেছিল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনি পথে নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে ইচ্ছামত বিদ্যুৎ খাতের চুক্তিগুলো করেছে। জনগণের অধিকার আছে এসব বিষয় জানার। কীভাবে চুক্তিগুলো হল সেটি প্রকাশ করা উচিত মন্তব্য করেন টুকু বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ হলো জনগণের কাছে এই কন্ট্রাক্টগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া, জনসমক্ষে প্রকাশ করা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (কুইক রেন্টাল) আইন, ২০১০’ বাতিল করে। সে বছর ৩০ নভেম্বর আইন বাতিলের গেজেট প্রকাশ। এ আইনে থাকা দায়মুক্তি বিধানও বাতিল করা হয়েছে। তবে আইনটি বাতিল হলেও এর আওতায় সম্পাদিত চুক্তি বা চুক্তির অধীন গৃহীত কোনো ব্যবস্থা বৈধভাবে সম্পাদিত বা গৃহীত হবে। বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে ক্যাপাসিটি চার্জ বা কেন্দ্র ভাড়ার নামে ১৫ বছরে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুর্নীতির পরিসংখ্যান চিত্র তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য টুকু বলেন, বিদ্যুৎখাতে ১৫ বছরে মোট খরচ হল ২ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার। বর্তমান বিনিময় হারে তা ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ক্যাপাসিটি চার্জে লুটপাট হয়েছে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। ২০০৮০৯ অর্থবছরে হয়েছে ১ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা, ২০১১১২ অর্থ বছরে হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা, ২০১৮১৯ অর্থবছরে হয়েছে ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা এবং ২০২২২৩ এ হয়েছে ১৭ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তার অর্থ হলবেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো চলেনি এবং এই টাকা তাদের দেওয়া হয়েছে। এভাবে দেশের মানুষের কাছ থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনবজাতক নিয়ে তাদের দিন কাটছে ফুটপাতে
পরবর্তী নিবন্ধএকাত্তরে ভূমিকা কী ছিল, জামায়াতকে ইঙ্গিত মকরে প্রশ্ন রিজভীর