বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির জন্য দায়ীদের শাস্তি দাবি

তেল-গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির বিক্ষোভ

| শনিবার , ২৩ জুলাই, ২০২২ at ৫:৩৮ পূর্বাহ্ণ

লোডশেডিং, বিদ্যুৎ খাতে ভুলনীতি ও দুর্নীতির জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি, গ্যাস অনুসন্ধানসহ স্বনির্ভর পরিবেশবান্ধব জ্বালানী নীতির দাবিতে গত ২১ জুলাই নগরীর সিনেমা প্যালেস মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটির চট্টগ্রামের আহ্বায়ক কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় কমিটি চট্টগ্রাম জেলার সদস্য সচিব প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সিপিবি জেলা সভাপতি অশোক সাহা, বাসদ চট্টগ্রামের ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, বাসদ মার্কসবাদী চট্টগ্রামের সমন্বয়ক শফি উদ্দীন কবির আবিদ, গণসংহতি আন্দোলন চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি, গণমুক্তি ইউনিয়নের রাজা মিয়া প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জাহেদুন্নবী কনক। বক্তারা বলেন, কুইক রেন্টাল যে একটা লুটপাটের সিস্টেম তা আমরা ১০-১২ বছর ধরেই বলে আসছিলাম। সরকার আমাদের বক্তব্যে কর্ণপাত করেনি। আজ প্রমাণিত হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে চুরি, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনাই দায়ি দেশব্যাপী লোডশেডিংয়ের জন্য। সরকারের দুর্নীতির দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনগণকে। সরকারি দলের নেতারা সংসদে দাড়িয়ে দম্ভোক্তি করে বলেছিল দেশে কোন বিদ্যুতের সংকট নেই। লোডশেডিংকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে। অতিরিক্ত উৎপাদিত বিদ্যুৎ ফেরি করে বিক্রি করতে হবে। আর এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি দেশে বিদ্যুৎঘাটতির দায় চাপাচ্ছেন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের উপর। তারা আরো বলেন, দেশের স্থল ও সমুদ্রের গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে উপেক্ষা করা হয়েছে। গ্যাস চুরি, অপচয় বন্ধ করে, সাশ্রয়ী ব্যবহার করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অন্যদিকে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানিকে গুরুত্ব দিয়ে জ্বালানি খাতকে এলএনজি আমদানিনির্ভরতা অনিবার্য করে তোলা হয়েছে। তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংবিধানের মূল দৃষ্টিভঙ্গিকে উপেক্ষা করে বেসরকারি খাতের প্রাধান্যও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কমিশনভোগী ও বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়েছে। প্রতিবছর জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়েছে ও হচ্ছে। জ্বালানি খাতকে আমদানিনির্ভর করাসহ ভুল নীতি ও দুর্নীতি ত্যাগ করে দেশের দেশপ্রেমিক, বিশেষজ্ঞ ও বামপন্থীদের কথা শুনে জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নিলে আজকের এ পরিস্থিতি তৈরি হতো না। সমাবেশে রেন্টাল, কুইক রেন্টালসহ অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানানো হয়। একইসাথে জ্বালানিখাতে আমদানি নির্ভরতা দূর করে জাতীয় সক্ষমতা বাড়াতে স্থল ও সমুদ্র ভাগে নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান ও উত্তোলনে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল
পরবর্তী নিবন্ধসাংবাদিক অরুণ দাশগুপ্ত ছিলেন অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে আপসহীন