বিদ্যুৎ ও যোগাযোগে আঞ্চলিক সহযোগিতার বার্তা

প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

| শুক্রবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৮:২১ পূর্বাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে গণভবনে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতের পর তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি বলেন, সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। ‘কানেকটিভিটি’ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ রুট চালুর উপর গুরুত্বারোপ করেন। খবর বিডিনিউজের।

শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। তিনি বলেন, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। ভারতবাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন দুজনই।

যোগাযোগ ও জলবিদ্যুতের মত খাতে ভারত আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করতে চায় বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, যোগাযোগ ও অন্যান্য খাতে শক্তিশালী উপআঞ্চলিক সহযোগিতাকে জোরদার করতে চায় তার দেশ। বিশেষ করে জলবিদ্যুৎ খাতে আমাদের অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পরস্পরের জন্য লাভজনক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে। ভারত এক্ষেত্রে বড় উৎপাদক ও ভোক্তা। বিবিআইন ফ্রেমওয়ার্কের মত ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। জয়শঙ্কর বলেন, এ অঞ্চলে বিদ্যুতের উৎপাদন, ট্রান্সমিশন ও বিপণনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা তৈরিতে ভারত নেতৃত্ব অব্যাহত রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে সংক্ষিপ্ত সফরে বৃহস্পতিবার দুপুর ঢাকায় পৌঁছান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিকালে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদূষণে-দখলে বদলে যাচ্ছে কক্সবাজারের ইকোসিস্টেম
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬