বিদ্যমান হাসপাতাল ও পুরাতন কলোনিতে অবকাঠামো, শতবর্ষী গাছ কাটা পড়বে না

রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১৪ জুলাই, ২০২১ at ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ

সিআরবিতে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, এই হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য কোনো শতবর্ষী গাছ কাটা পড়বে না। রেলওয়ের বিদ্যমান হাসপাতালসহ পুরাতন ও জরাজীর্ণ কলোনি অপসারণ করে ওই স্থানে অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
রেলওয়ের অতি. প্রধান প্রকৌশলী (সেতু, পূর্ব) মোহাম্মদ আহসান জাবির গতকাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল কেবিনেট কমিটি অন ইকোনমিক (সিসিইএ) কর্তৃক অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল এবং ১০০ আসন বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ নির্মাণের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত বছরের ১৮ মার্চ সম্পাদিত ওই চুক্তি মোতাবেক ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে হাসপাতালটি নির্মাণ করবে এবং ৫০ বছর পর পুরো হাসপাতাল রেলওয়ের নিকট হস্তান্তর করবে। তখন হাসপাতালটি পুরোপুরি রেলওয়ে হাসপাতাল হিসেবে গণ্য হবে। উক্ত হাসপাতালে রেলওয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা বিশেষ সুবিধায় চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিবৃতিতে এই হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসাসেবার মান আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে উল্লেখ করে বলা হয়, এর ফলে উন্নত চিকিৎসাসেবার জন্য বিদেশ গমনের প্রবণতা হ্রাস পাবে। এতে বলা হয়, হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য সিআরবি রেলওয়ের নিজস্ব হাসপাতালের পাশে গোয়ালপাড়া এলাকাকে নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বমোট ছয় একর জায়গার উপর হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত স্থানে বর্তমানে রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অতি পুরাতন ও জরাজীর্ণ বাসাবাড়ি রয়েছে। উক্ত স্থানে বসবাসরত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ইতোমধ্যে অনত্র বাসা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। যারা বাকি রয়েছেন তাদেরকেও পর্যায়ক্রমে অন্যত্র বাসা বরাদ্দ দেওয়া হবে।
প্রকল্প এলাকায় শতবর্ষী কোনো গাছ নেই উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, উক্ত স্থানে বিদ্যমান গাছ এবং ভূমিরূপের অবয়ব ঠিক রেখেই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে। সিআরবি শিরীষতলা এলাকা ও সাত রাস্তার মোড়ে শতবর্ষী গাছ রয়েছে। ওই স্থানটি এই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গা নয় বিধায় শতবর্ষী গাছগুলো কাটা বা বিনাশের কোনো আশঙ্কা নেই। শিরীষতলা ও সাত রাস্তার মোড় এলাকায় রেলওয়ে কর্তৃক আরও সৌন্দর্যমণ্ডিত করা হয়েছে। এর ফলে শিরীষতলায় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। গাছগাছালিতে আচ্ছাদিত নয়নাভিরাম ওই উন্মুক্ত পরিসরটি সকাল-বিকাল মানুষের শরীরচর্চার অন্যতম স্থান হয়ে উঠেছে। গোয়ালপাড়ায় হাসপাতাল নির্মাণ করা হলে সিআরবি এলাকার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক পরিবেশ ও শিরীষতলায় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানসহ নানাবিধ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা বা বিঘ্ন ঘটবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআরবিকে বাঁচান
পরবর্তী নিবন্ধপাল্টে যাচ্ছে নগরীর দৃশ্যপট