বিদেশে নিতে গণ অনশনের ঘোষণা বিএনপির

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে খালেদা জিয়া : ফখরুল

| শুক্রবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:১২ পূর্বাহ্ণ

খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার দাবিতে আগামীকাল শনিবার ৭ ঘণ্টার গণঅনশনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবিতে আগামী ২০ নভেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে এবং সারা জেলা-মহানগরে গণঅনশন কর্মসূচি পালনের জন্য আমি সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি। খবর বিডিনিউজের।
ঢাকার ভেন্যু নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঢাকায় অন্য কোথাও ভেন্যু পাওয়া না গেলে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কর্মসূচি হবে। মির্জা ফখরুল বলেন, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতা। তার চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হবে না- এটা অমানবিক। আমরা অনতিবিলম্বে তার জীবন রক্ষার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় হাসপতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন খালেদা জিয়া। গত ১৩ নভেম্বর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংগ্রাম করছেন। তার চিকিৎসার ব্যাপারে আমাদের এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন রকম অসুখে। এই অসুখ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তাকে বাইরে চিকিৎসা করাটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়, ডাক্তাররাই বলছেন, তাকে বিদেশে পাঠালে তিনি সুস্থ হবেন।
এদিকে শর্তসাপেক্ষে দণ্ড স্থগিত থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে যে মন্তব্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক করেছেন, তা সঠিক নয় বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ল মিনিস্টার সাহেব পার্লামেন্টে যে বক্তব্যটা দিয়েছেন- আইন নেই, এটা সঠিক নয়। ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪০১ ধারার বিধান মতে সরকার শর্তহীন বা শর্তযুক্তভাবে কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির দণ্ড স্থগিত কিংবা মওকুফ করতে পারে। আইনে বলা হচ্ছে যে, সরকার প্রয়োজনে এবং যদি মনে করে, যে কোনো সময়ে পরিবর্তন, সংযোজন এবং এটার অন্য কোনো না কোনো শর্ত আরোপ করতে পারে। অর্থাৎ এটা সম্পূর্ণভাবে সরকারের এখতিয়ার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজিয়া জাদুঘরের ট্রান্সমিটারটি শীঘ্রই কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে স্থানান্তর হবে
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপি যত খুশি গালি দিক, কিছু করার নেই : আইনমন্ত্রী