দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকমন্ডলীর সাথে মতবিনিময় করেছেন চট্টগ্রামস্থ জাপানি সিটি কম্পিউটার কোম্পানি লিমিটেডের নেতৃবৃন্দ। গত ৮ জুন বিকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সিসিকের চট্টগ্রাম শাখার প্রেসিডেন্ট কাওহারা ইয়াসোহিরো, ডিজিএম কেশি সাইতো এবং চট্টগ্রাম এওটিএস এলুমনি সোসাইটির এডভাইজর মোহাম্মদ ফিরোজ শাহ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, অঞ্জন শেখর দাশ, মো. ওমর ফারুক, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দেশের বর্তমান অবকাঠামো উন্নয়নে বড় বিনিয়োগ রয়েছে জাপানের। এর মধ্যে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ, মেট্রোরেল এবং শাহজালাল বিমান বন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল অন্যতম। এছাড়া দেশের ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে জাপানি বড় বড় কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে যৌথ অংশীদারীত্বের ভিত্তিতে জাপানি কয়েকটি কোম্পানি বিনিয়োগে এগিয়ে আসছে। আশা করি চট্টগ্রামের ভৌগোলিক ও বর্তমান অবকাঠামোগত সুবিধা কাজে লাগিয়ে জাপানের অন্যান্য কোম্পানিগুলো বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে। জাপানি বিনিয়োগকারীদের সকল ধরনের সহায়তা করতে চিটাগাং চেম্বার জাপান ডেস্ক চালু করেছে। এছাড়াও দেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারের সহযোগী হিসেবে সকল ধরনের সেবা দিতে চিটাগাং চেম্বার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান চেম্বার সভাপতি।
সিসিকের চট্টগ্রাম শাখার প্রেসিডেন্ট কাওহারা ইয়াসোহিরো বলেন, চট্টগ্রামে রয়েছে সিসিকের শাখা। এছাড়া চট্টগ্রামে অনেক জাপানি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। ভবিষ্যতেও চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে সিসিকে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। এজন্য চিটাগাং চেম্বারের সহায়তা কামনা করেন তিনি।
প্রসঙ্গত সিসিকে জাপানভিত্তিক আইটি কোম্পানি। জাপান ছাড়াও কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্র, ফিলিপাইন এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।