বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করায় কারও নাম উল্লেখ না করে বিদেশি কূটনীতিকদের এক হাত নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, বিদেশিরা নিজেদের এ দেশের সম্রাট মনে করে। গণমাধ্যমে অতি প্রচারের কারণে কূটনীতিকরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলে মজা পায় বলেও মনে করেন মন্ত্রী। গতকাল সিলেট জেলা শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে সম্মাননা পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমন মন্তব্য করেন মোমেন। তার ভাষায়, পৃথিবীর আর কোথাও রাষ্ট্রদূতরা অ্যাকটিভিস্টদের মতো দল বেঁধে মন্তব্য করে বেড়ায় না। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্যকারীদের বয়কট করতে গণমাধ্যমকে ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। খবর বিডিনিউজের।
পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা ও প্রাণহানির কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪০ জন মারা গেল। একটা দেশও কথা বলেনি। আমাদের দেশে কে কী করল, সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার। এটি অভন্তরীণ বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপ, যা ভিয়েনা কনভেশনশনের ধারেকাছেও নেই। বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ বলে তারা এটা করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সিলেট অঞ্চলের অনেক মনীষী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন। বিশেষ করে হাসন রাজার গান, শাহ আব্দুল করিমের গান, উনাদের সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত এসব গুণীজন একাধারে গান রচনা, সুরারোপ, সংগীত চর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। সে কারণে তাদের সৃষ্টি অনন্য এবং অমর হয়ে আছে।
শেখ হাসিনার সরকার সংস্কৃতি চর্চায় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জেলা–উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলার কর্মকাণ্ড আয়োজনে সরকারি ব্যবস্থাপনা পূর্বের চেয়ে এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে।