তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি–জামাত বারবার বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়। এর অর্থ জনগণ ও জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করা, জনগণকে তোয়াক্কা না করা। দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কাছে অনুনয়–বিনয় করা দেশবিরোধী অপতৎপরতা।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসসের। সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, রাজনীতিবিদ ধর্ণা দেবে জনগণের কাছে। যারা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে তারা জনগণের কাছে ধর্ণা দেবে। কিন্তু জনগণের কাছে ধর্ণা না দিয়ে রাত বিরাতে বিএনপি নেতারা বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়। এটি দেশবিরোধী অপতৎপরতা। আমাদের ভেতরে যদি রাজনৈতিক মতদ্বৈততা বা মতবিরোধ থাকে সেটি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা না করে বিদেশিদের কাছে নিয়ে যাওয়াও দেশবিরোধী অপতৎপরতা এবং এই কাজটি বিএনপিসহ তার মিত্ররা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন–এই চারটি বিষয়ের মধ্যে বিএনপি ও তার মিত্রদের রাজনীতি সীমাবদ্ধ। জনগণের কোনো বিষয়াদি তাদের মধ্যে নেই উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা বাড়লো কি বাড়লো না, গায়ের তাপমাত্রা ঠিক আছে কিনা, সেটি নিয়ে তারা ব্যস্ত। জনগণ নিয়ে তারা ব্যস্ত নয়।
নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিটি কর্পোরেশনগুলোতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন যেভাবে হয়েছে সেটি শুধু দেশের জন্যই নয়, এই উপমহাদেশের জন্য উদাহরণ। ক’দিন আগে পশ্চিমবাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ৩৫ জন নিহত হয়েছে, আমাদের দেশে সেটি হয়নি।
তিনি বলেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ছিল বিএনপির ওপর একটি চপেটাঘাত। কারণ বিএনপি নির্বাচনে শুধু অংশগ্রহণ করে নাই তা নয়, তাদের নেতাকর্মী–সমর্থকদের নির্বাচন বর্জন করতে বলেছে। কিন্তু তাদের আহ্বানে কেউ সাড়া দেয়নি। জনগণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখান থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন, কারণ আগামী নির্বাচন বিএনপি বর্জন করতে পারে, জনগণ তা করবে না, জনগণ অংশ নেবে।
ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদেরকে তৃণমূলের নেতা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ অনেকটা আপনাদের ওপর নির্ভর করে। তাই অনুরোধ জানাবো, গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুন, আগামী নির্বাচনে যাতে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে, সেটির প্রচারণা করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি যাতে অব্যাহত থাকে, সেটির পক্ষে প্রচার করুন।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা দেশবিরোধী অপতৎপরতায় লিপ্ত, দেশের সম্মানহানি করে বিদেশিদের হাতে–পায়ে ধরে, তাদেরকে বর্জন করুন, নিজেদের সংগঠনকে সুসংগঠিত করুন।