গত ২০ ডিসেম্বর ১ হাজার ৫৫২টি নমুনা পরীক্ষায় ১৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। হিসেবে করোনা শনাক্তের গড় হার ৯.২১ শতাংশ। তবে ওই দিন পরীক্ষাকৃত ১ হাজার ৫৫২টি নমুনার মধ্যে ৯৫৪টি ছিল বিদেশগামী যাত্রীর। বিদেশগামী ৯৫৪ জনের মাঝে ১২ জনের করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। বিদেশগামীদের হিসাব বাদ দিলে ৫৯৮টি সাধারণ নমুনায় ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয় ওইদিন। শতকরা হিসেবে যা প্রায় ২২ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়- বিদেশগামীদের হিসাব আলাদা করলে পুরো ডিসেম্বর জুড়েই ২০ শতাংশের সামান্য কম-বেশি হারে করোনা শনাক্ত হয়েছে চট্টগ্রামে। কোনো কোনো দিন ৩০ শতাংশও ছাড়িয়েছে। কিন্তু বিদেশগামীর সংখ্যাসহ একই সাথে হিসাবে আনায় শনাক্তের গড় হার তুলনামূলক কম আসছিল। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী- গত ২০-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৮ হাজার ৯০২টি নমুনা পরীক্ষা হয় চট্টগ্রামে। এর মধ্যে ১ হাজার ৬৭৭ টি নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়। গড় শনাক্তের হার ৮.৮৭ শতাংশ। এটি বিদেশগামীর সংখ্যাসহ হিসাবের তথ্য। এর মধ্যে বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা হয় ১০ হাজার ২৪৭ জনের। যার ৮৫ জনের করোনা ধরা পড়ে।
বিদেশগামী যাত্রীদের এই হিসাব বাদ দিলে ডিসেম্বরের শেষ ১২ দিনে ৮ হাজার ৬৫৫টি সাধারণ নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রামে। এতে করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৫৯২ জনের। হিসেবে সাধারণের পরীক্ষাকৃত নমুনায় শনাক্তের গড় হার ১৮.৩৯ শতাংশ। কেবল শেষ দিকেই নয়, ডিসেম্বরের শুরুর দিকেও পাওয়া গেছে একই চিত্র।
১০ ডিসেম্বর সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৫১টি নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয় ১৭৯ জনের। শনাক্তের গড় হার ১১ শতাংশের সামান্য বেশি। তবে ৬৩৮ জন বিদেশগামীর হিসাব বাদ দিলে ওইদিন সাধারণের নমুনা পরীক্ষা হয় ৯১৩টি। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়ে ১৭৪ জনের। হিসেবে সাধারণের নমুনায় করোনা শনাক্তের গড় হার ১৯ শতাংশের বেশি। তবে সাধারণের গড় শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায় ২২ ডিসেম্বর। ওই দিন সবমিলিয়ে ১ হাজার ৫৮৩ টি নমুনা পরীক্ষায় ১৭৮ জনের করোনা ধরা পড়ে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯৮ জন বিদেশগামীর হিসাব বাদ দিলে ৪৮৫টি সাধারণ নমুনায় করোনা পজেটিভ পাওয়া যায় ১৭১ জনের। হিসেবে ওই দিন সাধারণের পরীক্ষাকৃত নমুনায় গড় শনাক্তের হার দাঁড়ায় ৩৫.২৫ শতাংশ।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিদেশগামীসহ সব নমুনা পরীক্ষার হিসাব একই সাথে করা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। বিদেশগামীর হিসাব আলাদা করলে শনাক্তের হার কিছুটা বেশি স্বীকার করলেও সার্বিক দিক বিবেচনায় চট্টগ্রামের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই রয়েছে বলে দাবি সিভিল সার্জনের।