বিদায়ী প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে ফুটে উঠেছে বিচার বিভাগের অবস্থা : খসরু

| শুক্রবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪২ পূর্বাহ্ণ

শুধু ব্রিকস নয়, বিশ্বের কোথাও তাদের জায়গা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার গুমখুনের হোতা। তারা দুর্নীতিবাজ। যে কারণে ব্রিকসের সদস্য হতে পারেনি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ ব্রিকসের সদস্য হচ্ছে। আজ সরকার পরাজিত হয়েছে। তারা সব জায়গায় প্রত্যাখ্যাত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু এ মন্তব্য করেন। খবর বাংলানিউজের।

তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র, অর্থনীতি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুতরাং দেয়ালের লিখন পড়ুন। জনগণের মনের ভাষা বুঝে বিদায় নিন। দেশটাকে মুক্ত করুন। বাকি ব্যবস্থা দেশের মানুষ নেবে। কারণ সংবিধান মোতাবেক দেশের মালিক তো জনগণ। আমরাও সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন চাই। সেটা হতে হবে মানুষের ইচ্ছার ভিত্তিতে। কিন্তু সরকার যা করছে তা তো মানুষের ইচ্ছার সঙ্গে যায় না। আমরাও তো সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। ভাওতাবাজি করে লাভ হবে না।

এ সময় বিচার বিভাগের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বিচার বিভাগের কী অবস্থান সেটা ফুটে উঠেছে। অর্থাৎ তার বক্তব্য একটা কঠিন বার্তা। সেটা বিশ্ববাসী ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, মুক্তবাজার অর্থনীতি সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যার কারণে এত লুটতরাজ, দুর্নীতি ও টাকা পাচারের পরও কিন্তু বাংলাদেশ টিকে আছে। বাংলাদেশের ভিত্তি রচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। তার ওপর নির্ভর করেই পরে খালেদা জিয়া সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এশিয়ার ইমার্জিং টাইগারে পরিণত করেছেন।

অন্যদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর গণতন্ত্র হত্যা, বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার যে বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই বাংলাদেশে আমরা বসবাস করছি। পক্ষান্তরে আমাদের নেতা তারেক রহমান সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে। তিনি এখন স্টেটসম্যান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর এ্যানি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এতে আরও বক্তব্য দেনবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজান ওমর বীর উত্তম, ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লা বুলু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখৈয়াছড়া ঝরণায় বখাটেদের হামলায় ৪ পর্যটক আহত
পরবর্তী নিবন্ধদুই বছর পর হেফাজতের কমিটিতে ফিরলেন রাজনীতিকরা