ত্রিশ লক্ষ শহীদি প্রাণ, দুই লক্ষ মা–বোনের মানহানি,
বহু ত্যাগের বিনিময়ে রচিত বিজয় দিবসের কাহিনি।
তবে শোনরে তোরা শোন
কিভাবে এলো বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ।
৫২‘র ভাষা আন্দোলন পেরিয়ে ৫৪‘র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
৫৬‘র শাসনতন্ত্র আন্দোলন শেষে ৬২‘র শিক্ষা আন্দোলন,
৬৬‘র ছয় দফার উপহার ৬৯‘র গণ অভ্যুত্থান
৭০‘র নির্বাচনের পটভূমিতে এলো জয় বাংলার গান।
ছয় দফা হলো এক দফা ৭ই মার্চের অগ্নিঝরা ভাষণে..
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সৃষ্টি হলো তুমুল জাগরণ
সাত কোটি মানুষের মুখে একটিই পণ….
আনবো বিজয়, হোক যতো বিসর্জন।
ভুট্টো আলোচনার আড়ালে প্রহসন করল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান‘র সাথে
নিরস্ত্র জনতার বুকে গুলি চালাল
২৫শে মার্চের কালো রাতে।
বাবার শাসন, মায়ের স্নেহ, আদর
খোকা করেনি তোয়াক্কা, সন্তানের হাসি ফেলে
যুদ্ধে গেল খোকা। রণাঙ্গনে শহীদ হয়ে,
রক্ত রঙে খোকা আঁকে একা, সূর্যের লাল
লালিমায়, সবুজের ছায়ায় লাল সবুজ পতাকা।







