বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি যেন মানুষের জন্য কল্যাণকর ও প্রকৃতিবান্ধব হয়

ইউটিএস বাংলাদেশের প্রথম সমাবর্তনে ড. অনুপম সেন

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:২৬ পূর্বাহ্ণ

বিজ্ঞানই বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। আগে বিজ্ঞান এগিয়েছিল ধীরে। এখন বিজ্ঞান দ্রুত এগুচ্ছে। এখন শুরু হয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব। সামনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতি বিশ্বকে কীভাবে বদলাবে আমরা জানি না। কিন্তু সেটা যেন মানবকল্যাণকর ও প্রকৃতিবান্ধব হয়। সেজন্য সচেষ্ট হতে হবে। গতকাল সকালে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির দামপাড়া কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) বাংলাদেশের ডিপ্লোমা অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ডিপ্লোমা অব বিজনেস প্রোগ্রামের প্রথম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভাইসচ্যান্সেলর প্রফেসর ড. অনুপম সেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউটিএস বিজনেস স্কুলের ডিন প্রফেসর কার্ল রোডস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউটিসএস’র ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট রিক্রুটমেন্ট’র হেড পিটার মারে। উপস্থিত ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী শামীম সুলতানা ও ইউটিএস বাংলাদেশের কোঅর্ডিনেটর প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ। প্রফেসর ড. অনুপম সেন বলেন, ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি (ইউটিএস) অস্ট্রেলিয়ার একটি নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও অন্যতম। প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটিতে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ও এই বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ ইউটিএসএর যৌথ উদ্যোগে ‘ইউটিএসপিইউসি প্রোগ্রাম’ পরিচালিত হচ্ছে। আজ এই প্রোগ্রামের আওতায় ডিপ্লোমা অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এবং ডিপ্লোমা অব বিজনেস প্রোগ্রামের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটা একটা বিরাট ব্যাপার। প্রধান অতিথি প্রফেসর কার্ল রোডস বলেন, সমাবর্তন একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। আজকে আমরা ছাত্রদের কৃতিত্ব উদযাপন করছি, তার মানে আমাদের শ্রমের ফল দেখতে পাচ্ছি। ইউটিএস এবং প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি আজ খুব আনন্দিত। এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব আমরা স্বীকার করছি। বিশেষ অতিথি পিটার মারে বলেন, একজন অভিভাবক হিসেবে আমি চাই আমার সন্তানরা একটি দুর্দান্ত শিক্ষা লাভ করুক। ইউটিএস এ ধরনের শিক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। অনুষ্ঠানে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, কলা ও সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহকারী ডিন এম. মঈনুল হক, বিভিন্ন একাডেমিক বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএমইএস কলেজ ডিগ্রি পাস কোর্সের ওরিয়েন্টেশন
পরবর্তী নিবন্ধলেখকের বাস্তব জীবনের অনুভূতি হচ্ছে সাহিত্য