বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফার্মেসি বিভাগের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মাধ্যমে বিদায় অনুষ্ঠান ২০২৫ ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান জাহেদ বিন রহিমের সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রীডম স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হযরত আলী মিয়া ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এস. এম. শোয়েভ। বক্তব্য রাখেন প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. সিরাজ মিয়া এবং বিদায়ী শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ফারুক মো. তাশরিক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ফার্মাসিস্টদের অবদান আজ আর অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই চিকিৎসা খাতের তুলনায় ফার্মেসি খাতের অগ্রগতি অনেক বেশি দৃশ্যমান এবং বহু ক্ষেত্রে বাস্তবমুখী। যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান ও ফার্মেসি খাতের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ, কার্যকর ও গবেষণাভিত্তিক সমন্বয় তৈরি করা যায়, তাহলে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেকাংশে কমে আসবে। আজ আমাদের দেশের জেনেরিক ওষুধ প্রায় ১৬৫টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল সাফল্য। সুতরাং রপ্তানিমুখী ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে আরো বেশি গবেষণা করতে হবে। করোনাকালে আমাদের ফার্মেসি গ্রাজুয়েটরা ঘরে বসে থাকেনি বরং সামনের সারিতে থেকে গবেষণা, উৎপাদন এবং সাপোর্ট সিস্টেমে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী গবেষক প্রথমদিকে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর একটি প্রাথমিক প্রতিষেধক তৈরিতে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদুল ইসলাম ও কাজী ফাতিমা ইয়াসমিন–এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. মুরাদুর রহমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালাহউদ্দিন শাহরিয়ার, বিভাগের শিক্ষক শারমিন আক্তার, অগ্নীলা চক্রবর্তী, নাসরিন জোবায়দা, মো. আরমান, মো. আবু হানিফ, আবদুল্লাহ আল নোমান, ইসরাত জাহান প্রমুখ। দিনব্যাপী আয়োজনে শিক্ষার্থীরা নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটিকা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।












