বিজয় মিছিল করে গ্যাবনের ক্ষমতায় বসানো হল এনগুয়েমাকে

| শুক্রবার , ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ

গ্যাবনে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জেনারেল ব্রাইস ওলিগুই এনগুয়েমাকে দেশটির অন্তবর্তীকালীন নেতা ঘোষণা করেছে। বুধবার ঘোষণা দেওয়ার আগে জেনারেল এনগুয়েমাকে তার সেনারা বিজয়ীর বেশে মিছিল করে রাজধানী লিব্রেভিলের রাস্তা দিয়ে নিয়ে যায়। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গো ওনদিমবা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে এক ভিডিও বার্তায় হাজির হয়ে বিশ্বজুড়ে থাকা মিত্রদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন, তার পক্ষে আওয়াজ তোলার অনুরোধ করেছেন। ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ গ্যাবন আফ্রিকার প্রধান তেল উৎপাদক দেশগুলোর একটি। বঙ্গোর পরিবার ৫৫ বছর ধরে দেশের ক্ষমতা দখল করে ছিল, সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবার তার অবসান হল। খবর বিডিনিউজের।

বুধবার স্থানীয় সময় ভোররাতে জাতীয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, তারা দেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। শনিবারের যে নির্বাচনে বঙ্গোকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল তার ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেন তারা। ওই নির্বাচনকে প্রতারণা আখ্যায়িত করেছিল দেশটির বিরোধী দলগুলো। সেনা কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বঙ্গোর এক ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছেন তারা। বিবিসি জানায়, আন্তর্বর্তী সময়ে কে দেশকে নেতৃত্ব দেবে তা ঠিক করতে অভ্যুত্থানের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসেন জেনারেলরা। ওই পদে জেনারেল এনগুয়েমাকে বসাতে ভোট দেন সবাই। এনগুয়েমা দেশটির প্রেসিডেন্ট গার্ড বাহিনীর সাবেক প্রধান। লিব্রেভিল ও অন্যান্য শহরে জনতা আনন্দ মিছিল করে সেনাবাহিনীর ঘোষণাকে স্বাগত জানায়। কিন্তু জাতিসংঘ, আফ্রিকান ইউনিয়ন ও ফ্রান্স এই অভ্যুত্থানের নিন্দা করেছে। ফ্রান্সের সঙ্গে বঙ্গো পরিবারের ঘনিষ্ঠতা ছিল। অভ্যুত্থানের ঘোষণা দিতে উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা জাতীয় টেলিভিশনে প্রথম যে তিনটি বিবৃতি পড়েছিলেন সেখানে ছিলেন না জেনারেল এনগুয়েমা (৪৮) । কিন্তু তার কিছুক্ষণ পর নেতা হিসেবে এনগুয়েমার নামই ঘোষণা করা হয় এবং তাকে মাথার ওপর তুলে রাস্তা দিয়ে বিজয় মিছিল করে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গোর বাবা ওমর বঙ্গো ২০০৯ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৪২ বছর ধরে দেশ শাসন করেছিলেন। এনগুয়েমা ২০০৫ সাল থেকে শুরু করে স্পেনের একটি হাসপাতালে ওমর বঙ্গোর মৃত্যু পর্যন্ত তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। ওমবার বঙ্গোর মৃত্যুর পর আলি বঙ্গো ক্ষমতায় এসে এনগুয়েমাকে প্রথমে মরক্কো দূতাবাসের ও পরে সেনেগালের দূতাবাসের সামরিক অ্যাটাশে করেন। ২০১৮ সালে আলি বঙ্গোর সৎভাই ফ্রেডিরিক বঙ্গোকে সরিয়ে এনগুয়েমাকে গ্যাবনের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ইউনিট রিপাবলিকান গার্ডের অধীনে থাকা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১৮.৩৬ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধদক্ষিণ আফ্রিকায় ভবনে আগুন লেগে অন্তত ৭৩ জনের মৃত্যু