আগের ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর গতকালও জয়ের রাস্তাতেই ছিল দুর্বার রাজশাহী। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবালো তারা। রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় সেঞ্চুরি করলেও দলকে জেতাতে পারেনি। দলকে জয়ের পথে টেনে নিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হারতে হলো রাজশাহীকে। নিজেদের প্রথম দেখায় খুলনাকে হারিয়েছিল রাজশাহী। গতকাল সে হারের শোধ নিল মিরাজের দল। তারা রাজশাহীকে হারিয়েছে ৭ রানে। এবারের বিপিএলে দুইশ রান টপকে জিততে পারেনি কোন দল। সে সুযোগটা এসেছিল রাজশাহীর সামনে। কিন্তু সুযোগটাকে হাতছাড়া করল রাজশাহী। টসে জিতে ব্যাট করতে নামা খুলনার দুই ওপেনার ৪২ রান করে বিচ্ছিন্ন হন। নাঈমকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন জিসান আলম। ২৭ রান করেন নাঈম। পরের ওভারে ফিরেন আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৩ বলে ২৬ রান করেন খুলনা অধিনায়ক। ৬ রান পর আলেক্স রক্স ফিরলে ৬০ রানে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। এরপর জুটি গড়ের আফিফ এবং বসিস্তো। ১১৩ রানের জুটি গড়েন দ্রুততার সাথে। দুজনই তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৪২ বলে ৩টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৬ রান করা আফিফকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙেন তাসকিন। এরপর বসিস্তোর সাথে জুটি বেধে ১৩ বলে ৩৬ রান যোগ করেন মাহিদুল ইসলাম। ১২ বলে ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ রান আসে মাহিদুলের ব্যাট থেকে। বসিস্তো অপরাজিত থাকেন ৩৭ বলে ৫৫ রান করে। আর তাতে খুলনা টাইগার্সের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ২০৯। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয়বারের মত দুইশর বেশি রানের ইনিংস গড়ল খুলনা। প্রথমটি ছিল চিটাগাং কিংসের বিপক্ষে ২০৩ রানের। রাজশাহীর পক্ষে ২টি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
২১০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ ওভারেই ৪৭ রান তুলে নেন হারিস এবং জিসান। ১৫ বলে ৩০ রান করে ফিরেন জিসান। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল এবং হারিস মিলে যোগ করেন ১৫ রান। ১৫ বলে ১৫ রান করে ফিরেন হারিস। পাওয়ার প্লেতে রাজশাহীর সংগ্রহ ১ উইকেটে ৬১ রান। তৃতীয় উইকেটে বেশ ভালই এগুচ্ছিলেন এনামুল এবং ইয়াসির আলি রাব্বি। কিন্তু ৫৮ রান যোগ করে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। আবু হায়দার রনির বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ২০ রান করা রাব্বি। এরপর দলকে টানতে থাকেন অধিনায়ক এনামুল হক। তাকে সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন রায়ান বার্ল। ১৯তম ওভারে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ফিরেন রায়ান বার্ল। ইরশাদের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন হাসান মাহমুদ। ১৬ বলে ২৫ রান করেন বার্ল। শেষ ওভারে রাজশাহীর দরকার ছিল ১৭ রান। এনামুল হক বিজয় তখনো অপরাজিত ৯১ রানে। হাসানের ওভারে বিজয় প্রথম বলে নিলেন চার রান। দ্বিতীয় বলে ২ রান। বিজয় ৯৭ রানে। তৃতীয় বলটা ডট। তৃতীয় বলে বিজয় নিলেন ২ রান। শেষ দুই বলে রাজশাহীর দরকার ৯ রান। আর বিজয়ের সেঞ্চুরির জন্য এক রান। পঞ্চম বল আবার ডট করলেন বিজয়। শেষ বলে এক রান নিয়ে বিজয় সেঞ্চুরি করলেন বটে। কিন্তু দল হারল ৭ রানে। ৫৭ বলে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন বিজয়।