রাতের খাবার শেষে চার বছরের শিশু মারুফকে নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে গিয়েছিলেন মা ইয়াছমিন আকতার। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে তিনি ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মায়ের হাত সরিয়ে মারুফ উঠে বসে বিছানায় খেলতে গিয়ে চোখে পড়ে খাটের এক পাশে থাকা মাল্টিপ্লাগে। এটি টেনে নিয়ে একটি লোহার কাঠি কুড়িয়ে মাল্টিপ্লাগের সকেটে ঢুকিয়ে দিতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। ঝাঁকুনি খেয়ে মৃদু চিৎকার দিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া মা বুকের ভেতর শিশু পরশ না পেয়ে চোখ মেলে দেখেন ছেলে পাশে নেই। উঠে দেখেন বিছানার উপর মাল্টিপ্লাগের সাথে লোহা কাঠি। পাশে পড়ে আছে ছেলের নিথর দেহ।
এমন দৃশ্য দেখে অচেতন শিশুকে জড়িয়ে মা ইয়াছিমেন শুরু হয় বুকফাটা আর্তনাদ। কান্না শুনে পরিবারের সদস্যরা ওই কক্ষে গিয়ে ঘটনা দেখে দ্রুত মারুফ নিয়ে ছুটে যায় হাসপাতালে। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আরব ফকিরের বাড়িতে। নিহত শিশু মারুফ ওই এলাকার দুবাই প্রবাসী মো. বাবরের ছেলে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। গতকাল শুক্রবার তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।