সময়ের সঙ্গে বিচার বিভাগকে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে তাকে সংস্কার করতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি মনে করেন, সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয় বরং নৈতিক। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন এবং বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির ‘গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে তিন এ মন্তব্য করেন। খবর বিডিনিউজের।
গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারে উদ্যোগ নেয়, যার অন্যতম বিচার বিভাগ। সেই প্রসঙ্গ ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচার বিভাগ কেবল ঐতিহ্যের স্বস্তিতে টিকে থাকতে পারে না। এটিকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়। আর সময়ের সঙ্গে বিচার বিভাগকে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে তাকে সংস্কার করতে হয়। গত ১৫ মাসে আমরা বিচারব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জনগণের বিচারপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি এবং সেটি এখনো চলমান আছে। সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সংস্কারের মূল লক্ষ্য প্রশাসনিক নয়, বরং নৈতিক যাতে প্রতিষ্ঠান ক্ষমতাকে নয়, মানুষকে সেবা দেয়, কর্তৃত্ব বৈধতার সঙ্গে যুক্ত হয় এবং বিচার বিভাগ জনগণের আস্থার নৈতিক অভিভাবকে পরিণত হয়।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছরের যাত্রা কেবল একাডেমিক সাফল্যের ইতিহাস নয় বরং এটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনেরই এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায় বলে মনে করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি বলেন, ইতিহাসের গভীর বোধ ছাড়া কোনো সংস্কারক প্রজ্ঞাবান হতে পারেন না, আর কোনো বিচারক তার সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেন না। তার মতে, আইন হল কোনো জাতির নৈতিক ইতিহাস, যা ন্যায়ের ভাষায় লেখা হয়; আর ইতিহাস হল কেন সমাজকে আরও ভালো হতে হবে, তারই অনুসন্ধান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, দলীয় রাজনীতি আমাদের নানাভাবে বিভাজিত করে ফেলেছে। আমরা শিক্ষা ও গবেষণাকে সকল রাজনীতির উর্ধ্বে রাখতে চাই। আমরা সমাজের সকলকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে চাই। ইন্ডাস্ট্রি–একাডেমিয়া সম্পর্ক আরো জোরদার ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চাই।












