বিচারের জন্য প্রস্তুত হাসিনাসহ ২৮৬ জনের মামলা

রাষ্ট্রদ্রোহ

| বুধবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৫ at ৫:০০ পূর্বাহ্ণ

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার অভিযোগে করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বিচারিক আদালতে বদলি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম ইশরাত জেনিফার জেরিন এ আদেশ দেন। তিনি বিচারের পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন। জয় বাংলা ব্রিগেডের জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে তারা সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়। খবর বিডিনিউজের।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, মামলায় ভারতে অবস্থান করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৬১ জন পলাতক। তাদের আদালতে হাজিরের জন্য গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবেদন এসেছে।

এরপর মামলাটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় তা বিচারিক আদালতে বদলির আদেশ দেয়া হয়েছে।

ছাত্রজনতার আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যার অভিযোগে বিভিন্ন থানায় ও আদালতে কয়েক ডজন মামলা হয়েছে শেখ হাসিনাসহ তার দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাইয়ে সংঘাতে মৃত্যুর ঘটনা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু করেছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার সময়ে গুমের অভিযোগেও একাধিক মামলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। এর মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থান দমানোর চেষ্টায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রায় কবে হবে তা জানা যাবে ১৩ নভেম্বর।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রাব্বী আলমের নেতৃত্বে জয় বাংলা ব্রিগেডের জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনাসহ কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য দেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাতের নির্দেশ দেন। এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন খুলনার যুবলীগ নেতা পারভেজ খান ইমন, চট্টগ্রাম জয় বাংলা ব্রিগেড প্রধান কবিরুল ইসলাম আকাশ, জয় বাংলা ব্রিগেড বরিশাল বিভাগের আইনজীবী কামরুল ইসলাম, সোহানা পারভীন রুনা, হাফিজুর রহমান ইকবাল, আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মধু, এলাহী নেওয়াজ মাছুম ও সাজ্জাদুল আনাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাঙামাটির প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট কাটবে কবে?
পরবর্তী নিবন্ধআলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘মেজর ইকবাল’ গ্রেপ্তার