বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত : আইনমন্ত্রী

যুদ্ধাপরাধী আশরাফ-মুঈনুদ্দীনকে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক দাবি জানানো হবে

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৮:৪২ পূর্বাহ্ণ

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যায়’ সম্পৃক্ততার অভিযোগ ‘কল্পনাপ্রসূত’ বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল রোববার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বিচারকদের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, দেশে কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়নি। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি সঠিক নয়। একই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের দুই হোতা আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ফেরাতে আনুষ্ঠানিক দাবি জানানো হবে। সমপ্রতি এ নিয়ে ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারবহির্ভূত হত্যায়’ সম্পৃক্ততার অভিযোগে বর্তমান পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমদসহ র‌্যাবের সাবেক-বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে আনেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে, যাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের কথা শোনা হয়েছে বলে আমার মনে হয় না। আমি এটাও বলতে চাই, যেসব দোষে র‌্যাব ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে দোষী করা হয়েছে, তা কিন্তু ঠিক নয় এবং কল্পনাপ্রসূত।
যুদ্ধাপরাধী আশরাফ-মুঈনুদ্দীনকে ফেরাতে দাবি জানানো হবে : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের দুই হোতা আলবদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে ফেরাতে ‘আনুষ্ঠানিক দাবি’ জানানো হবে। তিনি বলেন, গত দুই দিন আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে আমার একটা সাক্ষাৎ হয়েছে। সেখানে আমি এই দুই জনকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি করেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, আমরা যেন ফর্মালি (আনুষ্ঠানিক) এই দাবি করি। আমি তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ফর্মালি দাবি করব।
একাত্তরে জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের দুই কেন্দ্রীয় নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন শিক্ষক, ছয়জন সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যা করেন। সেই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর এই দুই বদর নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
পলাতক আশরাফুজ্জামান বর্তমানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে আর মুঈনুদ্দীন যুক্তরাজ্যে। সরকারের পক্ষ থেকে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিষয়ে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। তাকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি ব্রিটিশ সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে বললেন আইনমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে মৃত্যুহীন দিন, শনাক্ত ৩