জ্ঞাত আয়ের বাইরে ‘সম্পদ অর্জন’ এবং ‘ক্ষমতার অপব্যবহারের’ মাধ্যমে পূর্বাচলে ‘প্লট আত্মসাতের’ অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে দুটি আলাদা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন–দুদক। সংস্থার উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা–১ এ মামলা দুটি দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলা দায়েরের তথ্য দেন। অবৈধ সম্পদের মামলায় বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ‘অসঙ্গতিপূর্ণ’ ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮২০ টাকা থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২০২৪ সালের ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত থেকে বিচারপতি মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তার বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটিতে যুক্তরাজ্যে দুটি কেনার অভিযোগও করা হয়েছে। পাচারের ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩৩ হাজার ৬২০ টাকায় তিনি বাড়ি কেনেন বলে এজাহারে বলা হয়েছে।
আর প্লট আত্মসাতের বিচারপতি মানিক ছাড়াও সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামাল, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, এম জয়নাল আবেদীন ভুইয়াও রয়েছেন। এছাড়া রাজউক কর্মকর্তা মো. আবু বক্কার সিকদার, এম মাহবুবুল আলম ও আব্দুল হাইও রয়েছেন আসামি তালিকায়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আসামিরা যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও মিথ্যা হলফনামার মাধ্যমে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেন। পরবর্তীতে লিজ দলিলের শর্ত ভঙ্গ করে বেআইনিভাবে প্লট হস্তান্তর ও আত্মসাৎ করেন।