বিগত সরকারের আমলে পুরা দেশটাই ছিল কারাগার-হাটহাজারীতে আসলাম চৌধুরী

হাটহাজারী প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ আগস্ট, ২০২৪ at ৮:৪১ অপরাহ্ণ

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমীর আল্লামা আহমদ শফী ও আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জেয়ারত করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আসলাম চৌধুরী।

এর আগে রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালের দিকে দীর্ঘ আট বছর পর কারাগার থেকে সদ্য জামিনে মুক্তি পাওয়া বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী হাটহাজারী মাদ্রাসায় আসেন।

মাদ্রাসায় প্রবেশ করে তিনি প্রথমে দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা খলিল আহমদ কাসেমীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

এসময় তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে সারা দেশটাই ছিল আসলে একটা কারাগার। তখন আমরা কিছু ভেতরে ছিলাম আর কিছু বাইরে। মূলত সারা বাংলাদেশই কারাগার ছিলো তখন। ৫ই আগস্টের পরে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে। এখন আমাদের বুক থেকে একটা পাথর সরে গেছে মনে হচ্ছে, এটাই আমাদের সকলের জন্য বিশাল খুশির বিষয়। আর সামনের দিনগুলোতে আমরা সকলে মিলে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।

আর বিগত সরকারের আমলে শাপলা চত্তরসহ বিভিন্ন জায়গায় হেফাজতের যেসব নেতাকর্মীরা বিশেষ করে হেফাজতের প্রয়াত আমীর আল্লাহমা আহমদ শফী এবং জুনায়েদ বাবুনগরীসহ যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কবর জেয়ারত করার উদ্দেশ্যে এবং মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা খলিল আহমদ কাসেমীর দোয়া নিতে আমি আজ এখানে এসেছি।

এসময় মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মুফতি জসিম উদ্দিন, মৌওলানা দিদার কাসেমী, আশরাফ আলি নিজামপুরী।হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মৌওলনা মোহাম্মদ নাচির উদ্দীন মুনির, হেফাজত নেতা এমরান সিকাদার, নুর মোহাম্মদ, আবদুল মাবুদ এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যূগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সোলাইমান মঞ্জু, উত্তরজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোরসালিন, এ্যাড রেজাউন নুর সিদ্দিকী উজ্জ্বল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিঃ সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিছ আক্তার টিটু, চবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নকিব হোসাই চৌধূরী, পৌর বিএনপি নেতা মো.খায়রুন্নবী, সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. নুরুল হুদা সোহেল, পৌর বিএনপি নেতা আবু মুছা, মো.সাইফুল ইসলাম তালুকদার, রেজাউল করিম বাবু, কাজী রাশেদুল ইসলাম, মো.ইউসুফ আলী, মো.আবু তৈয়ব, এস এম আজম উদ্দিন, মো.মুহিব, মো. রায়হান, জিয়া উদ্দিন মুজান, শাহ নেওয়াজ জাহান মুন্না, নিজাম উদ্দিন তুহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি জামেয়ার কবরস্থানে প্রয়াত আমীর আল্লাহমা আহমদ শফী এবং জুনায়েদ বাবুনগরীর কবর জেয়ারত করে মাদ্রাসা মসজিদে আছর নামাজ আদায় শেষে মাদ্রাসা এলাকা ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ মে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে আসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ফৌজদারি কার্যবিধির (সন্দেহজনক) ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর একই বছরের ২৬ মে আসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশের সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত স্বাধীন দেশে অনিয়ম সহ্য করা হবেনা : নাজমুল মোস্তফা আমিন
পরবর্তী নিবন্ধসংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু উক্তি আর নয়, সবাই বাংলাদেশী: দক্ষিণ জেলা জামায়াত আমীর