আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাই কোর্ট বেঞ্চ গতকাল রোববার পর্যবেক্ষণসহ এ সিদ্ধান্ত দেয়। খবর বিডিনিউজের।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সারাহ হোসেন, অনীক আর হক, জে ড আই খান পান্না, মানজুর আল মতীন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন পরে সাংবাদিকদের বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানো এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কারীর ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদন করেন দুই আইনজীবী। সংবিধানে হাই কোর্টকে রুলস করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সেই রুলসের কথা উল্লেখ করে আমরা বলেছি এই আবেদন সঠিকভাবে হয়নি (নট ইনফরমড)। শুনানি শেষে পর্যবেক্ষণসহ তা খারিজ (সামারিলি রিজেক্টেড) করে দিয়েছে। পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, প্রত্যেক নাগরিকের সভা–সমাবেশ করার অধিকার আছে। তবে যদি সমাবেশে কোনো সহিংসতা হয়, সেক্ষেত্রে সর্বশেষ পন্থা হিসেবে পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
শুনানিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারক এক দফা নিয়ে কী বলেছেন, প্রশ্ন করা হলে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আদালত এটিকে ‘কানিং ডিভাইস’ বলেছেন। আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানো এবং কোটাবিরোধী আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়কারীর ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে এ রিট আবেদন করেন আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের সেখানে বিবাদী করা হয়।