সরকার পতনের আগের দিন নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় মারধর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণে কয়েকজন আহতের মামলায় বন্দর–পতেঙ্গা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়া এ আদেশ দেন।
এর আগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আওয়ামী শাসনের চার মেয়াদের এই এমপিকে থানা থেকে আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আইনজীবী ও সাধারণের বিক্ষোভের মুখে তাকে এজলাস কক্ষে উপস্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আদালত ভবনের সামনে প্রিজন ভ্যানেই তিনি বসেছিলেন। একপর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অনুসারে একই প্রিজন ভ্যানে করে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নানা স্লোগান দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হুমায়ুন কবির আজাদীকে বলেন, তিন দিনের রিমান্ড শেষে এম এ লতিফকে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এম এ লতিফ নগরীর পূর্ব মাদারবাড়ি মালুম মসজিদ এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় উঠেন। ৯ আগস্ট তিনি মালুম মসজিদে নামাজ পড়ে আত্মীয়ের বাসায় ফেরার পথে বিএনপির নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেন। ১৬ আগস্ট বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৪ আগস্ট নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন দেওয়ানহাটের ধনিয়ালাপাড়া এলাকায় মারধর, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. এরশাদ বাদী হয়ে এম এ লতিফসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১৬ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০০–১৫০ জনকে। এজাহারভুক্তদের মধ্যে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশিষ পাল দেবু, ২৩ নং পাঠানটুলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জাবেদ, ২৮ নং ডবলমুরিং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম বাহাদুর ও নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইমতিয়াজ বাবলাও রয়েছেন।
এজাহারে মো. এরশাদ উল্লেখ করেন, নিউ মার্কেট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ শেষে বাসার ফেরার পথে তার ও সহযোগীদের ওপর হামলা করা হয়। রড, হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। গুলি করা হয় এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।