বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলতে থাকে সমগ্র পূর্ব বাংলায়

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

ওরা আমার মুখের ভাষা কাইড়া নিতে চায়/ ওরা কথায় কথায় শিকল পরায় আমার হাতেপায়ে/ ওরা কথায় কথায়/ শিকল পরায় আমাদেরই হাতেপায়ে।’

সেই শিকল ভাঙতে উদগ্রীব বাংলার জনগণ। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শুধু ঢাকার স্কুলকলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য ধর্মঘট আহ্বান করে। ৪ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলছিল ২১ ফেব্রুয়ারির প্রতিবাদ দিবস পালনের প্রস্তুতি। ৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবির অফিস ১৫০ মোগলটুলিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সভাপতিত্বে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজনে ১১ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা শহরে পতাকা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি কোনো কর্মসূচি না থাকলেও টানা তিন দিন ধরেই চলে এ কর্মসূচি। এতে খুব বেশি টাকা সংগ্রহ না হলেও পতাকা দিবসকে সামনে রেখে নতুন নতুন কর্মী এসে যুক্ত হতে থাকে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে। সে সময় ৫০০ পোস্টার লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নাদিরা বেগম ও ডা. সাফিয়াকে। তারা তাদের বান্ধবী ও অন্য ছাত্রীদের নিয়ে পোস্টার লেখার ব্যবস্থা করেন।

২১ ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভের প্রস্তুতি কেবল ঢাকা শহরে নয়, সমগ্র পূর্ব বাংলায় চলতে থাকে। ৫ ফেব্রুয়ারি নিখিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের জরুরি অধিবেশন হয়। এতে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আপসহীন সংগ্রাম পরিচালনার জন্য ছাত্রসমাজের প্রতি আবেদন জানানো হয়। প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে সভা, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠানের সংবাদ দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘট পালন নিয়ে বেশ কিছু স্থানে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টানাটানি চলে। ঢাকা ছাড়াও প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনগণ ও ছাত্ররা রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে মিছিল করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএলএফ একদিন শুধু দেশের নয়, বিশ্বের জন্য রোল মডেল হবে
পরবর্তী নিবন্ধআইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ