নুর হোসেন বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ৩টি পাহাড়ি গরু কিনে বিক্রির জন্য কাপ্তাই নতুন বাজার আনন্দমেলা গরুর হাটে তোলেন। ৩টি গরুই লাল রঙের। লাল রঙের গরুর চাহিদা বেশি তাই নুর হোসেন গরু ৩টি কিনে বিক্রির জন্যে হাটে তোলেন। ৩টির মধ্যে বড় সাইজের গরুটি তিনি ৭৫ হাজার টাকায় কিনে আনেন। আকারে সামান্য ছোট ২টি গরু ৫৫ এবং ৬০ হাজার টাকায় কিনে আনেন। ৩টি গরু বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসতে তার আরো প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ পড়ে। নুর হোসেন আশাবাদী ছিলেন ৩টি গরু বিক্রি করে যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে তার প্রায় ২০ হাজার টাকা মুনাফা থাকবে। লাল রঙের বড় গরুটি ৮৫ হাজার টাকা দামও উঠেছে। তিনি ৯০ হাজার টাকায় বিক্রির আশায় বাজারে অপেক্ষা করছিলেন। গতকাল গরুগুলো খুঁটিতে বেঁধে তিনি অদূরে প্রস্রাব করতে যান। খানিক পরে এসে দেখেন তার বড় গরুটি খুঁটিতে বাঁধা নেই। এদিক ওদিক ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেও গরুর সন্ধ্যান পেলেন না।
পরে নুর হোসেন গরুর হাটের মুখে বসানো পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যান। কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি গরু হারানোর কথা উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা শাহীনুর রহমানকে জানান। শহীনুর রহমান গরুর একটি ছবি চাইলে নুর হোসেন দেখাতে পারেননি। অর্থাৎ তিনি গরুর কোন ছবি তুলে রাখেননি।
পরে নুর হোসেন আজাদীর কাপ্তাই প্রতিনিধির কাছে আসেন এবং এ ব্যাপারে সহযোগিতা চান। গতকাল হাটে প্রায় দুই জাহার গরু বিক্রির জন্য তোলা হয়। এর প্রায় অধিকাংশই লাল রঙের গরু। এই প্রতিনিধি নুর হোসেনকে নিয়ে ঘণ্টা খানেক বাজারে ঘোরাঘুরি করেন। কিন্তু কোনটা যে নুর হোসেনের গরু তা তিনি নিজেই বলতে পারেননি। গরু খুঁটি থেকে ছুটে গেছে না অন্য কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে সেটাও নুর হোসেন স্পষ্ট করে বলতে পারেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে গরুটি খুঁটি থেকে ছুটে ভিড়ের মধ্যে অন্য গরুর সাথে কোথাও মিশে গেছে। এই ফাঁকে কারো নজরে গরুটি পড়ায় তিনি তার হেফাজতে গরুটিকে রেখে দেন। কিন্তু বিষয়টি তিনি চেপে যান। নিরুপায় হয়ে পরে নুর হোসেন হারানো গরু খোঁজা বন্ধ করে বাকি ২টি গরু বিক্রির করার কাজে লেগে যান। নুর হোসেন বলেন, লাভের আশায় ধার করে গরুর ব্যবসা শুরু করলাম। লাভ তো দূরের কথা এখন মূল টাকা ওঠানোই সম্ভব হবে না।
পুলিশ কর্মকর্তা শাহীনুর রহমান বলেন, আমরা মাইকে কিছুক্ষণ পরপরই ঘোষণা দিচ্ছি নিজ নিজ গরু হেফাজতে রাখতে। বাজারে কেউ জাল টাকা দিয়ে গরু বেচা কেনা করলে তা ধরার জন্য আমাদের টিম কাজ করছে।